বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের সান্ধ্য কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ থাকলেও মাইক্রোবায়োলজি এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে চলতি বছরও নতুন করে সান্ধ্যকালীন কোর্সের কার্যক্রম চলছে।
তবে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যানের দাবি, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগের বিজ্ঞাপনে তারা শিক্ষার্থী ভর্তি নিচ্ছেন। আর ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের কার্যালয় থেকে নিষেধাজ্ঞার পর শিক্ষার্থী ভর্তির কথা বলা হলেও বিভাগের চেয়ারম্যান অস্বীকার করেছেন।
গত ডিসেম্বরে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে দেওয়া বক্তব্যে সান্ধ্য কোর্স নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির অসন্তোষের দুইদিন পর সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
এরপরই বিভিন্ন বিভাগের প্রতি নির্দেশনা দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামে নতুনভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার নির্দেশ’ দেয়।
বুধবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে বুধবার দুপুরে দেখা যায়, সান্ধ্য কোর্সের স্নাতকোত্তর পর্বে ভর্তি হতে একদল শিক্ষার্থী এসেছেন।
ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী হুমায়রা হিমু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিজ্ঞাপন দেখে ভর্তি হতে এসেছি। আরও চল্লিশজন আসবে ভর্তি হতে।”
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান জাকারিয়া মিয়া বলেন, “আমরা নতুন আর কোনো বিজ্ঞাপন দেব না নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায়। এগুলা হলো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগের বিজ্ঞাপনের। কারণ ছাত্ররা তো তখন দরখাস্ত দিয়ে দিয়েছিল।”
বিভাগটির কার্যালয়ের থাকা একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সান্ধ্য কোর্সে জানুয়ারিতে নতুন এক ব্যাচের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। ৪ ফেব্রুয়ারি এই ব্যাচের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়। শিক্ষকদের নিয়মিত ক্লাসে অনীহা থাকলেও সান্ধ্য কোর্সের ক্লাসে সময়মতো আসেন।”
তবে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান।
তিনি বলেন, “আমরা নতুন কোনো ব্যাচে ভর্তি করিনি। আমাদের তো এক-দুইটা ব্যাচ ভর্তি হয়েছে অনেক আগেই, তাদের ক্লাসও প্রায় শেষ হয়ে গেছে।”
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা তো সান্ধ্য কোর্সে ভর্তির নিষেধাজ্ঞার নির্দেশনা দিয়েছি। এরপর আর নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়ার ব্যাপারে আমরা কোনো নির্দেশনা দেইনি।”