পূজার দিনে ভোট: নূর দেখছেন ‘ষড়যন্ত্র’

সরস্বতী পূজার দিন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ রাখার পেছনে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র’ দেখতে পাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নূর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Jan 2020, 01:04 PM
Updated : 15 Jan 2020, 01:04 PM

তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। এখানে হিন্দু ধর্মের একটি বড় উৎসব সরস্বতী পূজা। তাই পূজার দিনে এই নির্বাচন হতে পারে না। হয় সেটা আগাবে, না হয় সেটা পিছাবে।"

ছাত্রলীগের হামলায় আহত হওয়ার ২৩ দিন পর বুধবার ডাকসু ভবনে নিজের অফিস কক্ষে ফিরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ঢাকা সিটি নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন নূর।

ঢাকার দুই সিটির ভোটের দিন ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার মধ্যে পড়ায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে ডাকসুসহ বিভিন্ন সংগঠন।

একজন আইনজীবী এ দাবিতে হাই কোর্টে গেলেও আদালত মঙ্গলবার তা খারিজ করে দেয়। ফলে ভোটের তারিখ সেই ৩০ জানুয়ারিই থাকে। এই প্রেক্ষাপটে গত দুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে  নুরুল হক নূর বলেন, “এটি হচ্ছে সরকারের একটি নীল নকশা। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নতজানু হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অবশ্যই এই নতজানু নির্বাচন কমিশন ঢাকা সিটির মত একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের তারিখ সরকারের কনসার্ন ছাড়া ঘোষণা করেনি। এখানে কোনো একটা ষড়যন্ত্র করার জন্যই কিংবা একটা বিশৃঙ্খলা তৈরি করার জন্যই পরিকল্পনা করে এই কাজটি করা হয়েছে।"

হাই কোর্ট যে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের পক্ষেই মত দিয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দিলে নূর বলেন, “এটা আমাদের কাছে রহস্য যে, কীভাবে এরকম একটি সাম্প্রদায়িক বিষয় হাই কোর্ট থেকে জাস্টিফাই করা হল। কারণ এটাতো ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের বিষয়। সেদিন মানুষ ভোট দেবে, নাকি তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করবে?"

গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে নুরুল হক নূর ও তার সঙ্গীদের উপর হামলার ঘটনার  পর ভিপির কক্ষ সিলগালা করে রেখেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তদন্ত কমিটি বুধবার নূরকে তার অফিস কক্ষের চাবি ফিরিয়ে দিলে দুপুরে তিনি নিজের কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। সেখানেই সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সেদিনের হামলায় জড়িতদের অতি দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান নূর।