ফের ককটেল বিস্ফোরণে আহত মধুর ক্যান্টিনের কর্মী

পাঁচদিনের মধ্যে চতুর্থবারের মতো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Dec 2019, 06:47 AM
Updated : 30 Dec 2019, 01:08 PM

সোমবার সকাল ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের সামনে পরপর দুইটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হলে হৃদয় নামের এক ক্যান্টিনকর্মীর কোমরে স্প্লিন্টার লাগে। তবে তার আঘাত গুরুতর নয়।

নিউ মার্কেট ফাঁড়ি পুলিশের এসআই মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন বলেন, সকাল ১১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনের গোল ঘরের দেয়ালে এবং সামনের রাস্তায় পরপর দুইটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

“ঘটনাস্থলে কালো টেপের ছিন্ন ভিন্ন অংশ পাওয়া গেছে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা বোঝা না গেলেও কলা ভবনের ছাদ থেকে সেগুলো ছোড়া হতে পারে বলে তাদের ধারণা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধুর ক্যান্টিন ও আইবিএ ভবনের গেইটের মাঝামাঝি স্থানে একটি অবিস্ফোরিত ককটেল পাওয়া যায়। এর আগে সেখানে ছোট একটি বিষ্ফোরণও হয়। পরে পুলিশ ককটেলটির নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটায়।

এর তিনদিন পর রোববার সকাল ৯ টার সময়ও মধুর ক্যান্টিনের সামনে তিনটি এবং বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে ডাকসু ভবনের পাশে ককটেল ফাটানো হয়।

ওইসব ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা রইচ উদ্দিন।

কিন্তু কারা বারবার ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ ও পুলিশ।

সোমবারের ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী বলেন, “এটা খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ মুহুর্তে তেমন কিছু বলতে পারছিনা।”

সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে পুলিশ কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম এক প্রশ্নে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশ ইচ্ছা করলে ঢুকতে পারে না। তারপরও সাদা পোশাকে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
যে ককটেলগুলো ফাটানো হচ্ছে সেগুলো খুবই ছোট আকৃতির বলে জানান ঢাকার পুলিশ কমিশনার।