বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এ মানববন্ধনে ভিপি নূরের ওপর হামলাকে পুরো জাতির ওপর হামলা বলে মন্তব্য করেন শিক্ষকরা৷ অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা৷
পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সাদা দলের আহ্বায়ক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “ডাকসুর নির্বাচিত ভিপির ওপর হামলা মানে গোটা জাতির ওপর হামলা, পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর হামলা।
গত রোববার ডাকসু ভবনে ওই হামলার মধ্যে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে নষ্ট করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
“এই হামলার পর আমরা শিক্ষক হিসেবে লজ্জিত। শুধু এই ঘটনা নয়, আজ ঢাবির বিভিন্ন হলেও সন্ত্রাসী হামলা চলে। মতের ভিন্নতা হলেই মার দেওয়া হয়। ভিপি নূর তাদের মতের সমর্থন করেনা বলে তাকে মারা হয়েছে।”
পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক সাদা দলের যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফর রহমানের বলেন, “ডাকসুর ওপর যখন এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা হয়, তখন তা সমগ্র জাতিকে আঘাত করে৷ ভিপি নূর এবং তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা হয়েছে তার নিন্দা জানাই আমরা।”
রোকেয়া হলের সাবেক প্রাধ্যক্ষ লায়লা নূর ইসলাম সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, “ডাকসু সমগ্র জাতির গৌরবের জায়গা। সে জায়গায় সন্ত্রাসী হামলা মেনে নেওয়া যায়না। ঢাবির ওপর আঘাত আসলে জাতির ওপর আসে। এটা মুক্তবুদ্ধি চর্চার জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।”
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক রাশেদ মাহমুদ বলেন, “আমি এই হামলার কোনো প্রতিবাদ জানাব না৷ কারণ বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চালু রয়েছে তাতে প্রতিবাদ করে কোনো লাভ হবে না৷ যখন কোনো ঘটনা ঘটে তখন আরেকটি ঘটনা ঘটিয়ে আগের ঘটনা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা চলছে।”
শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক আলমগীর হোসেন সম্রাট বলেন, “ডাকসু ভবনে অনেকগুলো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাওয়া হয়ে গেল৷ একদল হামলা করেছে, আরেকদল ফুটেজ নিয়ে গেছে৷ এখানে প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ দেখছিনা।”
মানবন্ধনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন মো. হাসানুজ্জামান, উদ্ভিদবিজ্ঞানের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষক মো. আল আমিন প্রমুখ।