সভাপতির অপসারণ চান মতিঝিল মডেল স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীরা

দুর্নীতির অভিযোগে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি আওলাদ হোসেনের অপসারণ দাবিতে দাবিতে মানববন্ধন করেছেন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Dec 2019, 09:43 AM
Updated : 9 Dec 2019, 09:43 AM

সোমবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শতাধিক শিক্ষক-কর্মচারী এ মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক রঞ্জিত কুমার নাথ বলেন, “গভর্নিং বডির সভাপতি আওলাদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। তার দুর্নীতি, অত্যাচার ও তার স্বেচ্ছাচারিতা আমাদের অতিষ্ঠ করে তুলেছে। শিক্ষক নির্যাতন আওলাদ হোসেনের প্রতিদিনের ঘটনা।

“তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন, যার ফলে ফান্ড শূন্যের দিকে। এই দুর্নীতিবাজ আওলাদ হোসেনকে না সরালে আমরা অনশনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

শিক্ষিকা সেলিনা আক্তার জাহান বলেন, “ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন আওলাদ হোসেন। নিয়মিত নিয়োগ বাণিজ্য করে যাচ্ছেন তিনি। তার যন্ত্রণায় আমরা অতিষ্ঠ।”

শিক্ষক আনিসুল ইসলাম বলেন, “এগারো বছর ধরে আওলাদ হোসেন নিয়মনীতি না মেনে এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি। প্রতিষ্ঠানের ফান্ড যেখানে থাকার কথা ৭০-৮০ কোটি টাকা সেখানে আছে মাত্র ৩৫ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে আওলাদ হোসেনকে সভাপতি পদ থেকে বাদ দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।”

আওলাদ হোসেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সহ-সভাপতি। এর আগের কমিটিতে তিনি ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে বিষয়ে জানতে চাইলে আওলাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এগুলো ষড়যন্ত্রের অংশ। কোচিং ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার পর থেকে শিক্ষকদের একটি অংশ আমার পেছনে লেগেছে। জামায়াত-বিএনপির একটি চক্র একত্রিত হয়ে নারায়ে তাকবির-আল্লাহু আকবর স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছে, আপনারা হয়ত সেই স্লোগান শুনেছেন।

“তারা একত্রিত হয়ে দুদকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। দুদক আড়াই বছর পর আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা- এমন ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে। এরপর তারা কোর্টে গিয়েছে, সেখানেও আমার পক্ষে রায় এসেছে। এখন সব কিছুতে ব্যর্থ হয়ে মানববন্ধন করছে। তাদের সঙ্গে স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষক নেই, গভর্নিং বডির কেউ নেই। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।”