বুধবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধক রহিমা কানিজ জানান।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো কাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টা থেকে খুলে দেওয়া হবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর রোববার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা যথারীতি চলবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সচল রাখার জন্য সিন্ডিকেটের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে বলে জানান রহিমা কানিজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের দাবিতে গত অগাস্টে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের একটি অংশ।
এর মধ্যেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পরে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতাকে পদ হারাতে হলেও তারা অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো অধ্যাপক ফারজানার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার তদন্তের দাবিতে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
চাপের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তা ফলপ্রসূ না হওয়ায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়।
ধর্মঘট, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, প্রশাসনিক ভবন অবরোধের মত বেশ কিছু কর্মসূচি শেষে ৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এই পরিস্থিতিতে ৫ নভেম্বর দুপুরে সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক ডেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু তারপরও শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন ও কনসার্টের মত কর্মসূচি চালিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তখন পুলিশ ডেকে হল খালি করার ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
পুরনো খবর