উপাচার্য ফারজানার অপসারণ দাবি করে ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিবৃতি

‘দুর্নীতি ও সহিংসতার মদদদাতা’র অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ জন শিক্ষক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2019, 07:34 PM
Updated : 8 Nov 2019, 07:34 PM

শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে তাকে অপসারণের পাশাপাশি আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার ও ‘দুর্নীতি’ তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর সহিংসতার মদদদাতা এমন একজন উপাচার্যকে পদচ্যুত করে জনগণের করের টাকার বিপুল অপচয় এবং শিক্ষার ক্ষয়ক্ষতি বন্ধ করা প্রয়োজন।

“অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে অবিলম্বে অপসারণপূর্বক তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দুর্নীতি এবং সকল অনিয়মের সুষ্ঠু বিচার করে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণার শান্তিপূর্ণ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।”

এতে বলা হয়, “অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে ‘সম্পূর্ণ ব্যর্থ’ হয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতি তার বিরূপ মনোভাব এবং সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের ‘ক্যাডার বাহিনীর’ উপর নির্ভরতা আমাদের লজ্জিত করে।

“ইতোমধ্যে সপরিবারে তার দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে এবং তিনি যেভাবে জনগণের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত করেছেন, তাতে তিনি নৈতিকভাবেও বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিচালনা করবার কোনো যোগ্যতা অবশিষ্ট রাখেননি। শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ এবং নিরাপত্তা দেওয়ার মতো যোগ্যতাও হারিয়েছেন তিনি।”

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, কাবেরী গায়েন, রোবায়েত ফেরদৌস, মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান, তাহমিনা খানম, সাঈদ হাসিবুল হাসান চৌধুরী, মজিবুর রহমান, কাজী মারুফুল ইসলাম, মার্জিয়া রহমান, মোশাহিদা সুলতানা, কামাল চৌধুরী, রুশাদ ফরিদী, অর্পিতা শামস মিজান, কামরুল হাসান, সামিনা লুৎফা, কাজলী সেহরীন ইসলাম; জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাসির আহমেদ, শেহরীন আতাউর খান, সৌম্য সরকার ও কাজী অর্ক রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরিফুজ্জামান রাজীব, খুলনা বিশ্বিবদ্যালয়ের মামুন অর রশিদ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী মামুন হায়দার, সৌভিক রেজা ও আ-আল মামুন, বখতিয়ার আহমেদ ও আব্দুল্লাহ বাকী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিনু কিবরিয়া ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী ফরিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর রাজী, সাদাফ নূর, মাইদুল ইসলাম, খাদিজা মিতু ও সুবর্ণা মজুমদার এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিউতি সবুর।