শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাইরে মোট ৮৬টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হয়।
সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার মো. এনামুজ্জামান, প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী ও ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম এ সময় উপাচার্যোর সঙ্গে ছিলেন।
উপাচার্য পরে সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা কোথাও কোনো ধরনের অনভিপ্রেত বা অসন্তোষজনক ঘটনার খবর পাইনি। আশা করি সুষ্ঠুভাবেই পরীক্ষা সম্পন্ন হবে।"
পরীক্ষা শেষেও কোনো অনিয়ম বা জালিয়াতির খবর পাওয়া যায়নি জানিয়ে অধ্যাপক সাদেকা হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সবাই নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে পরীক্ষা দিতে পেরেছে।"
আর প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী পরীক্ষা শেষে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম বা দূর্ঘটনা ঘটে নাই। সবাই সুশৃঙ্খল এবং কাঙ্খিতভাবেই পরীক্ষা দিতে পেরেছে।”
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে এক হাজার ৫৬০টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৯৭ হাজার ৫০৫ জন।
অনিয়ম-জালিয়াতি ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনায় এবার নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও দিতে হয়েছে ভর্তিচ্ছুদের।
মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে ৭৫ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য ৫০ মিনিট এবং ৪৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ মিনিট সময় দেওয়া হচ্ছে।
পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন সব ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস আগের মতই নিষিদ্ধ। এছাড়া পরীক্ষা চলাকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতও দায়িত্ব পালন করছে।