ঢাবিতে উপাচার্য ও ডিনের কুশপুতুল দাহ

পরীক্ষা ছাড়া ছাত্রলীগ নেতাদের স্নাতকোত্তরে ভর্তি করে ডাকসুর নেতা নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাণিজ্য অনুষদের ডিনের কুশপুতুল দাহ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 05:21 PM
Updated : 11 Sept 2019, 05:21 PM

বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই বিক্ষোভ দেখান তারা।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন, ফারুক হাসান, বিন ইয়ামিন মোল্লা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সালেহ উদ্দিন সিফাতসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত ‘পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়ে ডাকসু নেতা’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোসণার পর ছাত্রলীগের ৩৪ জন বর্তমান ও সাবেক নেতা ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞাপন, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হন।

তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বিভিন্ন সম্পাদক ও সদস্য পদে মোট আটজন নির্বাচনে অংশ নেন, বিজয়ী হন সাতজন। এছাড়া হল সংসদের ভিপি পদে অংশ নেন দুজন। এরমধ্যে একজন নির্বাচিত হন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এই ছাত্রলীগ নেতারা উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বা বাণিজ্য অনুষদের ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সই করা চিরকুট নিয়ে ওই সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রামে ভর্তি হন। ভর্তির পর থেকে ক্লাস বা পরীক্ষায় এই নেতাদের কেউই অংশ নেননি।

অবশ্য ওইদিন রাতে ডিন শিবলী রুবাইয়াতুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, যারা সরাসরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছেন, সেই শিক্ষার্থীদের সাহায্য করার উদ্দেশ্যেই শুধু মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে তাদের ভর্তি করানো হয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডিন যে কাজ করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা উপাচার্য ও ডিনের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছি। এই তিন দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের বিভিন্ন ধারাবাহিক কার্যক্রম চলমান থাকবে। তারই অংশ হিসেবে আমাদের এই কর্মসূচি।

“আমরা তাদের জানিয়ে দিতে চাই, আপনারা যে কাজ করেছেন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আপনাদের নিন্দাভরে স্মরণ করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে আপনাদের বিষয়ে কেবলই ঘৃণা, ঘৃণা এবং ঘৃণা রয়েছে। সেই ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ তারা আপনাদের কুশপুতুল দাহ করার মাধ্যমে করছে।”