রোববার বিকালে উপাচার্য লাউঞ্জে অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক অধ্যাপক শিবলী রুবায়েত, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ডাকসু নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
অধ্যাপক সামাদ বলেন, ‘‘আমাদের ছেলেমেয়েরা এবং সাত কলেজের ছেলেমেয়েরা যে আন্দোলন করছে এতে আমরা দেখেছি, আজকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে।”
’যৌক্তিক’ দাবি পূরণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা তাদের কাছে আহ্বান জানাবো; তাদের যে দাবি-দাওয়া সেগুলোতে আমাদের সহানুভূতি আছে।
“আমরা সেই দাবি-দাওয়াগুলোর মধ্যে যৌক্তিক যে সমস্ত দাবি-দাওয়া আছে সেগুলো পূরণে আমরা আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব।”
বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান দেশের বাইরে থাকায় তিনি ফিরে না আসা পর্যন্ত এই বিষয়ে ‘কার্যকর’ কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন অধ্যাপক সামাদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজের অধিভুক্তি চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে বাতিলের দাবিতে এদিন একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
তবে শিক্ষার্থীদের এই দাবি নিয়ে সাংবাদিকদের অধ্যাপক মুহম্মদ সামাদ বলেন, ‘‘সাত কলেজের অধিভুক্তি প্রকৃতপক্ষে বাতিল করার এখতিয়ার আমাদের নেই। এই সিদ্ধান্ত তো সরকারের সিদ্ধান্ত।”
আন্দোলনরত ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা ’ঠিক মতো’ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন,‘‘ তাদের যে সমস্ত যৌক্তিক দাবি আছে, সেগুলোর প্রতি আমাদের সমর্থন আছে এবং আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করবো সেগুলো পূরণ করতে।’’
২০১৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় ।
কলেজগুলো হল- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাংলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।
অধিভুক্ত হওয়ার ফলে এসব কলেজে ভর্তি পরীক্ষা, পাঠ্যসূচি ও পরীক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিচালিত হবে।
প্রতি মাসে প্রত্যেকটি বিভাগে প্রতি কলেজে দুইদিন করে মোট ১৪ দিন ঢাবি শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়াসহ মোট পাঁচ দাবি আদায়ে গত এপ্রিলে আন্দোলনে নামে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
কিছু ‘জটিলতার’ কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ‘অসুবিধা’ সৃষ্টি হওয়ার কথা স্বীকার করে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দ্রুততম সময়ে পাঁচ দাবি পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে আন্দোলন স্থগিত করে অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এরপর অধিভুক্ত সাত কলেজের কারণে ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্রশাসনিক কার্যক্রম ও একাডেমিক কার্যক্রমে ধীর গতি দেখা দিয়েছে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
আরো খবর