সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণে অবস্থান নেন।
এরপর বেলা ১২টায় সাত কলেজের সাতজন প্রতিনিধি উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানকে স্মারকলিপি দিতে তার কার্যালয়ে যান। সেখানে উপাচার্য আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে।
আলোচনা শেষে আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবু বকর বলেন, “উপাচার্যকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি এবং উনার সাথে আমাদের প্রতিনিধি দলের আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা এখন আমাদের আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করছি।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন সেগুলো হল- একসঙ্গে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত ফল প্রকাশসহ একই বর্ষের সব বিভাগের ফল একত্রে প্রকাশ, গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতা পুনঃমূল্যায়ন, সাত কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, সিলেবাস অনুযায়ী মান সম্মত প্রশ্নপত্র প্রণয়নসহ উত্তরপত্র মূল্যায়ন সম্পূর্ণ সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা করতে হবে এবং সেশনজট নিরসনে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, এই পাঁচ দফা দাবি পূরণের আশ্বাস এর আগেও তাদেরকে দেওেয়া হয়েছে। সেই আশ্বাসের ৭০ দিন পরেও তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পূরণ করতে পারেনি। তাই তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছিলেন। একই দাবিতে রোববার শিক্ষার্থীরা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন।