সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইন বিভাগের অধ্যাপক সরকার আলী আক্কাসকে চার সদস্যের এ কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আতিয়ার রহমান ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র কল্যাণের পরিচালক কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছে। আর সহকারী রেজিস্ট্রার (আইন) কমিটির সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৫ সালের বিশ্ববিদ্যালয় আইনে জকসু বিষয়ে কোনো ধারা না থাকায় এ সংক্রান্ত ধারা সংযোজন ও জকসু গঠনতন্ত্র প্রণয়নে আইন সংশাধনের জন্য কমিটিকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ দিতে হবে।
এর আগে দুপুরে জকসু নির্বাচনসহ ছয় দফা দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও মিছিল করে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি, সাত দিনের মধ্যে ছাত্র সংসদ আইনের খসড়া করে চার মাসের মধ্যে জকসু নির্বাচন দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলছেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিতে হবে। এজন্য অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বিদ্যমান সিজিপিএ শর্ত শিথিলের দাবিও তাদের।
এছাড়া সাত দিনের মধ্যে ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমানো ও মান উন্নয়ন করা, এক মাসের মধ্যে বাসের ডাবল শিফট চালু করা, দুই মাসের মধ্যে ছাত্রী হল চালু এবং নতুন ক্যাম্পাসের কাজ দ্রুত শুরুর দাবি রয়েছে শিক্ষার্থীদের।
স্মারকলিপি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য মীজানুর রহমান।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এ পি এম সোহেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ভিসি স্যার বলেছেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। তিনি সাত দিনের মধ্যে ক্যান্টিনের সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন ১০টি ও শিক্ষকদের জন্য একটি বাস কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।”
“আমরা আগামীকাল পর্যন্ত দেখব প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয়। যদি কোনো পদক্ষেপ না নেয় তাহলে পরের দিন থেকে কঠোর আন্দোলনে যাব।”