বুধবার টানা পঞ্চমদিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বাদ দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে বুয়েটের শহীদ মিনারের পাদদেশে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে শহীদ মিনারের পাশেই ক্যাম্পাসের ভেতরের পলাশী-বকশী বাজার রাস্তা অবরোধ করেন তারা।
সাড়ে ১১টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। দুপুর আড়াইটায় দিনের কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
“আমরা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরব না।”
শিক্ষার্থীদের দাবি >> বুয়েট গেটের জন্য সিভিল-আর্কিটেকচার ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন ও ডিজাইনের জন্য ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করার অফিসিয়াল নোটিস প্রদান >> বিতর্কিত নতুন ডিএসডাব্লিউ (ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক) অপসারণ করে ছাত্রবান্ধব ডিএসডাব্লিউ নিয়োগ >> ছাত্রী হলের নাম ‘সাবেকুন নাহার সনি হল’ নামকরণ >> শিক্ষার্থীদের ১০৮ ক্রেডিট অর্জনের পর ডাবল সাপ্লিমেন্ট পুনর্বহাল >> ভিসি অফিসে আটকেপড়া বিভিন্ন আবাসিক হলের অবকাঠামোগত কাজ সম্পাদন >> ‘সিয়াম-সাইফ’ নামে সুইমিংপুল কমপ্লেক্স স্থাপনে ভিসির স্বাক্ষরসহ নোটিস >> নির্মাণাধীন টিএসসি ভবন ও ন্যাম ভবনের কাজ শুরু করা >> নিয়মিত শিক্ষক মূল্যায়ন প্রোগ্রাম চালু >> বুয়েটের যাবতীয় লেনদেনে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু >> নির্বিচারে ক্যাম্পাসের গাছ কাটা বন্ধ ও যতোগুলো গাছ কাটা হয়েছে তার দ্বিগুণ গাছ উপাচার্যের উপস্থিতিতে লাগানো >> গবেষণায় বরাদ্দ বৃদ্ধি >> প্রাতিষ্ঠানিক মেইল আইডি প্রদান >> ওয়াইফাই আধুনিকায়ন >> ব্যায়ামাগার আধুনিকায়ন >> বুয়েট মাঠের উন্নয়ন >> পরীক্ষার খাতায় রোলের পরিবর্তে কোড সিস্টেম চালু।
|
গত ১৫ জুন থেকে শিক্ষার্থীরা ১৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলনে নামেন। ওইদিন উপাচার্য সাইফুল ইসলামের কাছে স্বারকলিপি দিয়ে দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসনকে তিনদিনের সময় বেঁধে দেন। পাশাপাশি বিক্ষোভও চলে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে নিজের কার্যালয়ে যাননি উপাচার্য । তবে বিভিন্ন অনুষদের ডিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা সঙ্কটের সমাধান দিতে পারেননি।
এদিকে ক্যাম্পাসে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছে বুয়েট শিক্ষক সমিতি।
বুধবার সমিতির সভাপতি এ কে এম মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা আলী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের চলমান কর্মসূচির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা বিরাজ করছে।
সঙ্কট সমাধানে প্রশাসন কোনো কার্যকর না নেওয়োয় উদ্বেগ প্রকাশ করে সমিতি।