আইইউবিতে ‘ক্লিন কুকিং’ নিয়ে সেমিনার

‘ক্লিন কুকিং’ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী তথা সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এক সেমিনার হয়েছে।

সোমবার ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ –আইইউবি এ সেমিনারের আয়োজন করে।

রাজধানীর বসুন্ধরায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লিন কুকিং অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ ও আইইউবির স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজম্যান্ট এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে ক্লিন কুকিং অ্যালায়েন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ক্লিন কুকিং’ এর এই নতুন ধারণা হলো প্রথাগত রান্নার ঠিক বিপরীত। এই পদ্ধতির রান্নায় থাকবে না জ্বালানী হিসেবে কাঠ-কয়লার ব্যবহার, থাকবে ধোঁয়ামুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি একটি রান্নাঘর। এছাড়া ব্যয় ও সময় দুটোই বাঁচবে, সর্বোপরি নিরাপদ হবে জীবন।

বাংলাদেশের ৮০ ভাগের বেশি রান্নাঘর এখনও নিরাপদ বা ক্লিন কুকিং এর আওতায় নেই। এসব অনিরাপদ রান্নাঘরে রান্না করার কারণে ধোঁয়া সহ নানা দূষণে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রতিবছর ৭৫ হাজারের বেশি নারী ও শিশু মারা যাচ্ছে।

রান্নাঘরের জ্বালানীর কারণে একদিকে যেমন বন উজার হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশেরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়াও ক্ষতিকর কার্বণ নিসঃরণে বৈশ্বিক প্রায় ২৫ ভাগ অবদান এই রান্নাঘর থেকে বলে সেমিনারে তথ্য দেওয়া হয়।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চের চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান।

‘ক্লিন কুকিং’ বিষয়টি বর্তমানে অতি জনগুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি একে গ্রাম্যাঞ্চলের পাশাপাশি রাজধানীর বস্তি এলাকাতেও প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সেমিনারের চেয়ারপার্সন আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক এম ওমর রহমান বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমিয়ে আনতে রান্নাঘরের জ্বালানী হিসেবে কাঠ-কয়লা পোড়ানোর বিকল্প ব্যবহারের ওপর জোর দেন।

 সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন পিকেএসএফের  ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল করিম এবং টোটাল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনজুর মোর্শেদ সিদ্দিকি।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ক্লিন কুকিং অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার আসনা তৌফিক। টোটাল বাংলাদেশের বিক্রয় ও বিপনন বিভাগের প্রধান মুজবিুর রহমান এবং আইইউইবির স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজম্যান্টের ডিন  আব্দুল খালেক বক্তব্য রাখেন।

সেমিনারের কুইজ প্রতিযোগিতায় ক্লিন কুকিং এবং পরিবেশ বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বিজয়ী হন রাবিব হোসেন। প্রথম ও দ্বিতীয় রানার-আপ হন রিফা নানজিবা এবং তাসনিম হাসান। বিজয়ী প্রত্যেককে ক্রেস্ট ও উপহার দেয়া হয়।