ফেইসবুকে মন্তব্য: জগন্নাথ শিক্ষার্থী ফাহাদ গ্রেপ্তার

ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফরহাদ হোসাইন ফাহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2019, 09:23 AM
Updated : 12 April 2019, 09:23 AM

ঢাকা কোতোয়ালি থানার ওসি মশিউর রহমান শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত রাতে আমরা খুলনা থেকে ফাহাদকে গ্রেপ্তার করেছি। আজই তাকে কোর্টে তোলা হবে।”

তবে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফাহাদ বলে আসছেন, যে মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তা তিনি করেননি। তাকে ফাঁসানোর জন্য তার নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে এটা করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ফেইসবুকে পেইজে শেয়ার করা নিউজের নিচে ‘ফরহাদ এইচ ফাহাদ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে করা মন্তব্যের একটি স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর ফাহাদের ‘ফাঁসির’ দাবিতে ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ শুরু করে ধর্মভিত্তিক ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের দুই নেতাও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা নূর-ই-আলম কোতোয়ালি থানায় ফাহাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এই মামলা দায়ের করেন।

আরেক ছাত্রলীগ নেতা মিজানুজ্জামান খান শামীম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ফাহাদের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে আবেদন করেন।

এই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার ফাহাদকে গ্রেপ্তারের জন্য কোতয়ালি থানায় চিঠি দেয় বলে প্রক্টর নূর মোহাম্মদ জানান।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে সেদিন তিনি বলেন, “ওকে গ্রেপ্তারের জন্য আমরা আমাদের এখান থেকে পুলিশকে চিঠি পাঠিয়েছি। অ্যাকাডেমিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আমরা ভাবছি। এ নিয়ে আবার আমরা বসব।”

মামলা হওয়ার আগে ফাহাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সে কারণে এখন আমি সব ফোন রিসিভ করি না। চেনা না হলে কারো ফোন ধরছি না।

“ফেইসবুকেও বিভিন্ন গ্রুপে আমার নামে যা-তা লেখা হচ্ছে। আমাকে কোপাবে, এই টাইপ। আমি তো দূরে আছি, নেটেও তেমন ঢুকছি না। নানাভাবে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”

ফাহাদ ওই মন্তব্য করার কথা অস্বীকার করলেও কেন তাকে গ্রেপ্তার করতে চিঠি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রক্টর নূর বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, “এই কমেন্টগুলো সে করেছে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। সে ইসলামবিরোধী কথাবার্তা বলেছে বলে আমরা পুলিশকে তাকে গ্রেপ্তার করতে বলেছি।”