ডাকসুর সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন সিনেট ভবনের অডিটোরিয়ামে এই সভায় দায়িত্ব বুঝে নেবে ডাকসুর ২৫টি পদে নির্বাচিত শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা।
আর এর মধ্য দিয়ে ভিপি নূরুল হক নূর ও জিএস গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন ডাকসুর ৩৬৫ দিনের মেয়াদ শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সভাপতি, সহ-সভাপতিসহ অন্যরা এ সভায় শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। তারপর তারা পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করবেন।”
একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হল সংসদে নির্বাচিতরাও শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেবেন। হল সংসদের সভা বসবে সংশ্লিষ্ট হলগুলোতে। গঠনতন্ত্র অনুসারে হল সংসদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন প্রাধ্যক্ষরা।
এর বাইরে কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদগুলোতে একজন করে ট্রেজারার নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান উপ-উপাচার্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রীতি অনুযায়ী নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা পরে অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন বলে জানান তিনি।
দীর্ঘ তিন দশক পর গত ১১ মার্চ ডাকসু এবং ১৮টি হল সংসদের নির্বাচন শেষ হয় কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগে কয়েকটি প্যানেলের বর্জনের মধ্যে দিয়ে।
কোটা আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাম জোট, ছাত্রদল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দুটি জোটের প্যানেল নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
ডাকসুতে ২৫টি পদের ২৩টিতে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ জিতলেও ভিপিসহ দুটি পদে জয় পায় কোটা সংস্কার দাবির আন্দোলনকারীদের প্যানেল।
ছাত্রদের হলগুলোতে ছাত্রলীগের একক আধিপত্য থাকলেও মেয়েদের চারটি হলে স্বতন্ত্র প্যানেলগুলো ভালো করে নির্বাচনে। তবে মেয়েদের রোকেয়া হলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ছাত্রলীগের প্যানেল।
নতুন ভিপি নূর গত ১৭ মার্চ গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রযাত্রায় পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলেও সাধারণ শিক্ষার্থীদের পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন।
দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে এতদিন তিনি অস্পষ্টতা রাখলেও শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে অনিশ্চয়তার অবসান ঘটান কোটা সংস্কার আন্দোলনের এই নেতা।
ডাকসুর দায়িত্ব বুঝে নিলেও নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দায়িত্ব গ্রহণের যে সিদ্ধান্ত সেটা আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলাপ করেই নিয়েছি। তারা মনে করে, আমরাও মনে করি যে পনুঃনির্বাচনের জন্য দায়িত্ব নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া উচিত এবং আমি সেটা করব।”