যেমন হলো ডাকসুর ভোট

বেশ কয়েকটি প্যানেলের বর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন।

মাসুম বিল্লাহসুলাইমান নিলয়, ও আতিক ফয়সালবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2019, 03:43 PM
Updated : 11 March 2019, 03:59 PM

তবে উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলছেন, ‘দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া’ এ নির্বাচন ‘উৎসবমুখর’  হয়েছে।

বেশ কয়েকটি প্যানেলের ‘ষড়যন্ত্রে কিছু ঝামেলা’ ছাড়া বাকি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দাবি করেছে সরকার সমর্থক ছাত্রলীগ।

সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও ব্যালট পেপার নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে রোকেয়া হল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত হয়।

এর মধ্যে কুয়েত মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সেখানে ভোট শুরুর আগেই বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে, যেগুলোতে ভোটের চিহ্ন দেওয়া ছিল। 

খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ সেখানে গেলে হলের গেইটে তাদের ঘিরে ধরে ভোট বাতিলের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এক পর্যায়ে হলে পুলিশ ঢোকার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের বাধায় তারা ফিরে যায়।

হল সংসদ নির্বাচনের বিপুল পরিমাণ ব্যালট দেখিয়ে শিক্ষার্থীরা সাংবাদিকদের বলেন, আগের রাতেই এসব ব্যালটে ‘ক্রস’ দিয়ে ভোটের চিহ্ন দিয়ে রাখা হয়েছে। যেসব নামে ভোটের চিহ্ন দেওয়া হয়েছে সেগুলো ছাত্রলীগের হল প্যানেলের প্রার্থীদের।

ভোটে অনিয়মের ঘটনায় হলের ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষকে সরিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি ‘তথ্যানুসন্ধান কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হলটিতে ভোট শুরু হয় তিন ঘণ্টা দেরিতে।

আর দুপুরে রোকেয়া হলে ভোটগ্রহণ কক্ষের পেছনে আরেকটি কক্ষে ব্যালট পেপার বোঝাই ট্রাংক পাওয়া গেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কারচুপির অভিযোগ এনে তা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় দুপুরের পর হলটিতে পুনরায় ভোট গ্রহণ করা হয়।

এই হলে ছাত্রলীগ বাদে অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, ভোটগ্রহণ শুরুর আগে তাদের খালি ব্যালট বাক্স দেখানো হয়নি। আর তিনটি ব্যালট বাক্সের হদিস তারা পাচ্ছেন না।

এ নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ২ হাজার ৬০৭টি ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ফারহানা ফেরদৌসী জানান। তার দাবি, ওইসব ব্যালটে কোনো চিহ্ন দেওয়া ছিল না, কারচুপির কোনো ঘটনাও সেখানে ঘটেনি।

ডাকসু নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর আগেই সোমবার সকালে বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে বস্তাভর্তি ব্যালট পেপার পাওয়া যায়। ভোটের চিহ্ন দেওয়া সেই ব্যালট পেপার দেখাচ্ছেন এক শিক্ষার্থী। ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান

ডাকসু নির্বাচন চলার মধ্যে রোকেয়া হলের একটি কক্ষে ব্যালট পেপার ভর্তি ট্রাংক পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ছবি: আব্দুল্লাহ আল মমীন

ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রলীগের প্রার্থী গোলাম রাব্বানীর উপস্থিতিতে রোকেয়া হলে সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নূরের উপর হামলা হয় বলে অভিযোগ এসেছে।

স্বতন্ত্র জোটের ভিপি প্রার্থী অরণি সেমন্তি খান বলেছেন, “নূরসহ অন্তত চারজনের ওপর হামলা করা হয়েছে।”

অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ বলছে, রোকেয়া হলে কোটা আন্দোলনের লোকজন খালি ব্যালট পেপার ছিনতাই করে সেখানে ‘নাটক’ সাজিয়েছে। আর বাংলাদেশ কুয়েত-মৈত্রী হলে পাওয়া ব্যালট পেপারগুলো ‘ফটোকপি’।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাম জোটের ভিপিপ্রার্থী লিটন নন্দী, সাধারণ শিক্ষার্থী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ভিপি প্রার্থী নুরুল হক নূর এবং জিএস পদপ্রার্থী রাশেদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করতে হবে, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে।

“সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।”

পরে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে একই কথা বলেন, ছাত্রলীগের জিএস প্রার্থী রাব্বানী। তিনি দাবি করেন, রোকেয়া হলে নূরের উপর কোনো হামলা হয়নি।

“তারা ছিল ৪০ জন, আমরা ছিলাম দুইজন। খালি ব্যালট পেপার নিয়ে এসেছে সেখানে; সিল ছিল না। যখন নূর ধরা খেয়েছে, তখন অভিনয় করে ফিট হয়ে পড়ে গেল।… এটা নাটক।”

কুয়েত মৈত্রী হলে সিলমারা যেসব ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে, তাও ‘ফটোকপি ও ভুয়া’ বলে দাবি করেন রাব্বানী।

ভোট বর্জনকারীদের সংবাদ সম্মেলন

ভোটের পর ছাত্রলীগের সংবাদ সম্মেলন

এদিকে রোকেয়া হলের ঘটনার পর সেখান থেকে বেরিয়ে দুপুর ১টার দিকে বিভিন্ন প্যানেলের প্রার্থীরা একত্রিত হয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাম সংগঠনগুলোর জোট, কোটা আন্দোলনকারীদের বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, স্বাধিকার স্বতন্ত্র পরিষদ, স্বতন্ত্র জোট রয়েছে এসব প্যানেলের মধ্যে।

পরে তারা ফের ফিরে আসে রোকেয়া হলের সামনে। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে আড়াইটার দিকে উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।

মিনিট পনেরো পর ছাত্রদলও মিছিল নিয়ে কাছাকাছি স্থানে এসে অবস্থান নেয়। আগে থেকে অবস্থান নিয়ে থাকা বাম-কোটা-স্বতন্ত্ররা তখন দুই পক্ষের অবস্থানকে আলাদা হিসাবে দেখাতে মানবঢাল তৈরি করে।

এ সব নিয়ে ছাত্রদলের সঙ্গে বাকিদের বিতণ্ডায় জড়াতেও দেখা হয়। পরে অবশ্য বাম-কোটা-স্বতন্ত্ররা উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।

সেখান থেকে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে মঙ্গলবার বিক্ষোভের কর্মসূচি দেয় তারা।

বিকাল ৫টায় উপাচার্য কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাম সংগঠনগুলোর প্যানেলের ভিপি প্রার্থী লিটন নন্দী।

তিনি বলেন, “ডাকসু নির্বাচন যদি বাতিল করা না হয় এবং আজ রাতের মধ্যে ফল ঘোষণা করা হয়, তাহলে আগামীকালের কর্মসূচি থাকবে। আপনার এটাকে ছাত্র ধর্মঘট হিসেবে নেবেন না। সবাই ক্যাম্পাসে আসবেন, কিন্তু ক্লাসে যাবেন না।”

তার এই কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যেই বিভিন্ন হলে ভোট গণনা চলছিল; দুই-একটি হলে ফলও ঘোষণাও হচ্ছিল।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ৪৩ হাজার শিক্ষার্থী।

ছাত্র হলগুলোর নির্বাচন

ভোর সাড়ে পাঁচটা-ছয়টা থেকে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের বিভিন্ন ফ্লোরে শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে উঠে ভোট দিতে যেতে ডাকা শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতারা।

হলের নিচতলায় উত্তরপাশে ভোটের কক্ষ থেকে লাইন লম্বা হতে থাকে, যা পশ্চিমের করিডোরে ক্যান্টিনের সামনে দিয়ে দক্ষিণের করিডোর ঘুরে আসে।

দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে অনেক শিক্ষার্থীকে ফ্লোরেই বসে পড়তে দেখা যায়। এ সময় লাইনে জায়গা রেখে অনেকে হলের ক্যান্টিনে নাস্তা করতে যান।

ডাকসুতে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সকাল ৯টার পর হলের সামনে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, হল গেেইট ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে থাকায় তিনি নির্বাচন দেখতে ভেতরে যেতে পারেননি।

হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরাও ভেতরে গিয়ে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নির্বাচনে পদ বেশি হওয়ায় ভোটাররা তালিকা নিয়ে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। লাইনে অপেক্ষার সময় কিছু অপরিচিত যুবক তাদের হাত থেকে ওই তালিকা নিয়ে ছাত্রলীগের প্যানেলের কাগজ ধরিয়ে দেয়।

একজন ভোটার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের অবস্থানের ভয়ে অনেকেই ভোট দিতে আসছে না। ছাত্রলীগ হলের প্রবেশমুখ থেকে ভোটার লাইন নিয়ন্ত্রণ করছে।”

পরে এ বিষয়ে আরও অভিযোগ এলে হলের রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের ধাওয়ার মুখে পড়েন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের ভিপি পদপ্রার্থী ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী।

তার অভিযোগ, মুহসীন হলের গেইট দিয়ে ঢুকে হলের আবাসিক শিক্ষকদের বাসভবন এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি ‘হামলার শিকার’ হন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে হলের প্রাধ্যক্ষ নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, “ভোটারদের লাইন মেহেদী হাসান সানি নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। দেখি কী করা যায়!”

তবে ছাত্রলীগ নেতা সানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কোনো নিয়ন্ত্রণ করছি না আমরা। হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই প্রবেশমুখে অবস্থান নিয়ে আছে।”

এদিকে শহীদুল্লাহ হলেও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রবেশে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করে ছাত্রদল।

ডাকসুর জিএস পদে ছাত্রদলের প্রার্থী আনিসুর রহমান খন্দকার অনীক বলেন, “১০টার পর তাদের পরিচিত ব্যক্তিদের বারবার ঢুকতে দিচ্ছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীদের গেইট পার হয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এভাবে যদি নির্বাচন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করা হবে।”

এর জন্য কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার দায় প্রশাসনকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন অনীক।

অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, “কাউকে বাধা দেওয়ার খবর পাইনি। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত ভোটাররা লাইনে অপেক্ষা করবে ততক্ষণ ভোট চলবে। কেন্দ্রের ভেতরে থাকা সবার ভোট নেওয়া হবে।”

দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও ভোট না দিতে পারার বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া যায় স্যার এএফ রহমান হল, বঙ্গবন্ধু হলে।

এফ রহমান হলের লাইন হল ছাড়িয়ে নীলক্ষেত-টিএসসি সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। এ হলের এক ভোটার বলেন, তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে তিন ঘণ্টা পর হলের গেইটে প্রবেশ করতে পেরেছেন।

হলের শিক্ষার্থীরা লাইনের পেছন থেকে প্রবেশ না করে সামনে এসে মাঝখান দিয়ে ঢুকে পড়ায় এই জটিলতার সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে বলে ওই শিক্ষার্থীর ধারণা।

এ হলের প্রাধ্যক্ষ কেএম সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেকগুলো ভোট। আর প্রথমবারের অভিজ্ঞতা। এজন্য ভোট গ্রহণে কিছুটা দীর্ঘসূত্রতার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এরপরও ভোটগ্রহণ সন্তোষজনক হয়েছে।”

দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট না দিতে পারার অভিযোগ পাওয়া গেছে জগন্নাথ হলেও।

তবে বিজয় একাত্তর হল, সূর্যসেন হলের একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী ‘উপদ্রবহীনভাবে’ ভোট দিতে পেরেছেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।  

সুফিয়া কামাল হলে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন প্রার্থীদের কেউ কেউ। তবে তাদের নিয়ে শিক্ষকরা হলের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালালেও কোনো অবৈধ ব্যালটের সন্ধান মেলেনি।

তল্লাশির ওই সময়টায় অঘোষিতভাবে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ থেমে থাকে। ঘণ্টাখানেক পরে ভোটগ্রহণে গতি ফেরে।

এ নির্বাচনে ছিল না কোনো অমোচনীয় কালির ব্যবস্থা। তার বদলে পরিচয়পত্র পাঞ্চ করে ফুটো করে দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের কোনো এজেন্ট রাখারও নিয়ম ছিল না।  

রায়হান নামে মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, “কেউ ভোট দিয়ে এসে আবার লাইনে দাঁড়ালেও চ্যালেঞ্জ করায় কোনো সুযোগ থাকে না। দৃশ্যমান স্থানে কালি দিয়ে দিলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।

ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথগুলোতে নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা।

প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা লাঞ্ছিত

ভোট বর্জনের ঘোষণার পর বাম-কোটা-স্বতন্ত্রদের মিছিল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য বাসভবনের দিকে যাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক এস এম মাহফুজুর রহমান।

এ সময় তাকে ঘিরে ধরে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির মুখে পড়ে তাকে বসে পড়তে দেখা যায়।

পরে অবশ্য বিক্ষোভকারীদেরই একটা অংশ তাকে সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে সহায়তা করে।