সোমবার দুপুরে এই সংঘর্ষের সময় গুলিবর্ষণ ও হাতবোমার বিস্ফোরণও ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথ ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কমিটির সব কার্যক্রম স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এরপর স্থগিত কমিটির সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল ক্যাম্পাস এড়িয়ে চললেও নতুন কমিটির দাবিতে বিক্ষোভ চালাচ্ছিল।
এর মধ্যে বুধবার তরিকুল ও রাসেল ক্যাম্পাসে গেলে তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে নতুন কমিটি প্রত্যাশীরা।
তা নিয়ে উত্তেজনা চলার মধ্যে সোমবার দুপুর ১২টার দিকে স্থগিত কমিটির পক্ষের নেতা-কর্মীরা সশস্ত্র অবস্থায় ক্যাম্পাসে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয় বলে শিক্ষার্থীরা জানায়। দুই পক্ষের মধ্যে ইট ছোড়াছুড়ি চলে।
নতুন কমিটি প্রত্যাশীদের অভিযোগ, অন্য পক্ষ রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, হাতুড়ি, পিস্তল নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
ঘণ্টাখানেক ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার পর সাড়ে ৩টার দিকে তরিকুল-রাসেলের অনুসারীরা বিশ্ববিদ্যালয় ফটকে অবস্থান নেয়। তখনই কয়েক রাউন্ড গুলির আওয়াজ ও কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
হামলায় আরও আহত হন ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আফসার, সাবেক সহ সম্পাদক টুটুল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কাউসার, সাদেক, এমরান, হাসান মোট ৩০ জন।
দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থানে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদকে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাসেল সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় বলেন, “ক্যাম্পাসে কী হচ্ছে, তা আমরা জানি না। এটা জানার কথা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। কারা কী করছে, সেটার দায় আমাদের উপর এখন বর্তায় না।”
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজয়ানুল হক শোভন বলেন, “তাদেরকে (জবি ছাত্রলীগ) একবার স্থগিত করে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছি। এব্যাপারে তদন্ত করে কঠিন থেকে কঠিনতর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাংবাদিকদের উপর হামলাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।