সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কনসার্ট চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান সভাপতি গ্রুপের এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাসান সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী হিসাবে পরিচিত।
প্রতক্ষ্যদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, কনসার্টের সময় রাসেলের অনুসারী এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে তরিকুলের এক অনুসারীর ধাক্কাধাক্কির ঘটনার পর সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা তখন একজোট হয়ে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীদের ওপর চড়াও হলে হাসান আহত হন। পরে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা পাল্টা আক্রমণ করলে আহত হন সুফিয়ান। তাদের দুজনকেই প্রাথমিক চিকৎসা দেওয়া হয়।
অবস্থা খারাপের দিকে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামালের সহযোগিতায় পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের বের করে দেয়।
সংঘর্ষের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেল বলেন, “জুনিয়র শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে এ ঘটনা ঘটে। আমরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মিলে তা সমাধান করে দিয়েছি। এখন কোনো সমস্যা নেই।”
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি।
রাতে সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের কতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার বদরুল হাসান রিয়াদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি হয়েছিল। তখন আমরা ফোর্স নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছি।”
এ ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা তাদের সতর্ক করে দিয়েছি, যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটায়।”