ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস’ পালন

গোলটেবিল বৈঠক, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, সেমিনারসহ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস’ পালন করেছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Sept 2018, 11:55 AM
Updated : 25 Sept 2018, 11:55 AM

গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট লার্নিং নেটওয়ার্ক (জিডিএলএন) সেন্টারে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগ।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারপারসন ইভা রহমান কবির এই দিবসের উদ্বোধন করেন।

মঙ্গলবার দিনব্যাপী আয়োজনে রোগীর স্বাস্থ্য সেবা, ওষুধের গুণমান রক্ষা, ফার্মাসিস্ট পেশার উন্নয়নে প্রস্তুতকারক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন বেশক’টি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ‘কিভাবে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের মান বৃদ্ধি করা যায়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তারা বিপননের পাশাপাশি পণ্যের মানোন্নয়নের দিকটিকে গুরুত্বারোপ করেন।

সানোফি বাংলাদেশের তানভীর সজীব বলেন, “বিশ্ব খাদ্য সংস্থার তথ্য মতে, সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করার কারণে প্রায় ৫০ শতাংশ ইনসুলিন বা ভ্যাকসিন জাতীয় পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরও ভয়াবহ। বেশিরভাগ ওষুধের দোকানই কুল চেইন ম্যানেজমেন্ট মেনে চলে না।”

এসিআইয়ের মার্কেটিং বিভাগের প্রধান মাজহারুল ইসলাম বলেন, “ওষুধের ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান বজায় থাকা আবশ্যিক শর্ত। অনেক সময় অধিক লাভ করতে গিয়ে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো মানহীন কাঁচামাল আমদানি করে থাকে। এতে ওষুধ উপকারের বদলে বিষে পরিণত হয়। কঠোর আইন প্রণয়ণের মাধ্যমে এগুলো বন্ধ হওয়া উচিত।”

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের নাজনীন সুলতানা বলেন, “দেশে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ছাড়াই ওষুধ সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হয়ে থাকে। প্যারসিটামল বা ওমিপ্রাজলের মতো ওষুধও বেশি মাত্রায় প্রয়োগ হলে যে শরীরের ক্ষতির কারণ হতে পারে, সেটাও তারা জানে না।”

এসময় আলোচকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমাজ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফার্মাসির কোর্স কারিকুলাম প্রণয়নের পরামর্শ দেন।

ইভা রহমান কবির বলেন, “গবেষণা খাতটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাজার ব্যবস্থা ও যুগের সাথে তাল রেখে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম সাজানো হয়েছে।”

পরে মঙ্গলবার বিকালে ফার্মাকোভিজিলেন্সের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করেন রোস বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আফরোজ জলিল।