এছাড়া বিদেশে পিএইচডি করতে গিয়ে শিক্ষা ছুটির নির্দিষ্ট সময় পরও বিভাগে যোগ না দেওয়ায় দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাতে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিন্ডিকেটের একজন সদস্য বিডিনিউজ টোন্টিফোরডটমকে বলেন, চাকরিচ্যুত দুই শিক্ষক হলেন অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাশফিকুর রহমান খান এবং উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের প্রভাষক তামান্না আফরিন রিমি।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, "ছুটিতে গিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রমে যোগ না দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় বিধি মোতাবেক দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।"
শিক্ষা ছুটিতে থাকা আরো কয়েকজন শিক্ষককে কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে আট সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে এস এম ফাইজুল হক ইশানের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে।
তাকে বিভাগ কর্তৃক ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ শিক্ষক বানানোর প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে অন্য প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল।
জানা গেছে, গত ১৩ অগাস্ট উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নাসরীন আহমাদের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগে তিনজন প্রভাষক (স্থায়ী) নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে তুলনামূলক বেশি মেধাবী, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর উভয় ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণিপ্রাপ্ত, বিভাগের সর্বোচ্চ ফলধারী, এমনকি বিদেশি ডিগ্রিধারী প্রার্থীকে বাদ দিয়ে মেধাক্রমে পিছিয়ে থাকা ইশানকে প্রভাষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় বলে অভিযোগ ছিল অন্য প্রার্থীদের।
সিন্ডিকেটের ওই সদস্য বলেন, সভায় সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে উপাচার্য ইশানের নিয়োগ বাতিল করেন।
তার জায়গায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে মেধাক্রমে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হলেন- ইসরাত জাহান ইয়ামুন ও ওয়াসিফা তাসনীম শাম্মা।
তাদের মধ্যে ইসরাতের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সিজিপিএ যথাক্রমে ৩.৭৪ এবং ৩.৮৮; আর ওয়াসফিয়ার সিজিপিএ যথাক্রমে ৩.৭২ ও ৩.৮৩। দুইজনই স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে মেধাক্রমে প্রথম হয়েছেন।