চবিতে ভর্তি জালিয়াতি: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক আরো ৭

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগে আরও এক ছাত্রলীগ নেতাসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2017, 01:26 PM
Updated : 30 Oct 2017, 11:06 AM

শনিবার রাতে ও রোববার পরীক্ষা শুরুর আগে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান সহকারী প্রক্টর লিটন মিত্র।

আটকরা হলেন- ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চের (আইইআর) ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সম্পাদক শহীদুল্লাহ নিশাদ, একই বিভাগের শিক্ষার্থী রায়হানুল হক, ভর্তি পরীক্ষার্থী মিজানুর রহমান, মুশফিকুর, মো. সালেহীন, শাহ ইকবাল কবির ও তাদের মধ্যস্থতাকারী চট্টগ্রাম কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র মো. তুহিন।     

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে লিটন মিত্র জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট রেল ক্রসিংয়ের কাছে একটি কটেজ থেকে নিশাদ ও রায়হানুলকে আটক করা হয়।

পরে তাদের মাধ্যমে অন্যদের আটক করা হয়।

সহকারী প্রক্টর লিটন জানান, আটকদের মধ্যে মিজানুর, সালেহীন, মুশফিকুর, শাহ ইকবাল কবির ভর্তি পরীক্ষার্থী। প্রক্সি দেওয়ার জন্য তারা নিশাদ ও রায়হানুলের সাথে তুহিনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছিল।

তিনি বলেন, নিশাদ ও রায়হানুলের কটেজ থেকে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীর বেশকিছু কাগজপত্র, চুক্তিনামা উদ্ধার করা হয়েছে। যেগুলোতে দেখা গেছে, পরীক্ষার্থীরা আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা করে চুক্তি করেছিল।

আটকদের হাটহাজারী থানায় সোপার্দ করা হয়েছে।

থানার ওসি বেলাল উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর জানান, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে গত বুধবার নগরীর বালুছড়া এলাকা থেকে নাজমুল কবির ও পরদিন পাঁচলাইশ বড় গ্যারেজ এলাকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইসতিয়াক আহ৮মেদ সৌরভকে ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

শেষ হলো ভর্তি পরীক্ষা

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে।

রোববার শেষদিনে অনুষ্ঠিত হয় ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম জানান, ‘ক’ ইউনিটের (বিজ্ঞান অনুষদ) পরীক্ষায় এক হাজার ২১৪ আসনের বিপরীতে ৩২ হাজার ৩২২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।

আবেদন করেছিলেন ৪৩ হাজার ১৩২ জন।