সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭তম জন্মদিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্ব শেষে শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংগীত পরিবেশন করে।
আলোচনা পর্বে রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যকর্মের মধ্য দিয়ে বিশ্বমানবতার কাজ করে গেছে মন্তব্য করে তার মানবতাবোধে উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে সমাজের উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ তার সকল কাজের মধ্যে মানবতাবোধের নিদর্শন রেখে গেছেন।
“এমনকি শিক্ষার মূল লক্ষ্যও হওয়া উচিত মানবকল্যাণ সাধিত করা, এই কথা তিনি বলতেন। আজকের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মনুষত্বের মনুষত্বের বিকাশ ঘটাতে তার শিক্ষা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।”
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ তার জীবদ্দশায় অন্যায়-অনাচারের প্রতি কখনও আপোষ করেননি। তিনি সেই সময় ব্রিটিশদের সাথে আপোষ না করার কারণে বিট্রিশদের দেওয়া নাইট উপাধিও ফেরত দিয়ে ছিলেন।”
অনুষ্ঠানে ‘রবীন্দ্রনাথের নৃত্যভাবনা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত রবীন্দ্র অধ্যাপক মহুয়া মুখার্জী।
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ তার সাহিত্যে শিক্ষা ও সংস্কৃতির প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেছেন। এজন্য তিনি বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন।
“রবীন্দ্রনাথ নিজে নৃত্যবিশেষজ্ঞ না হলেও তার নৃত্যনাট্যে দেশীয় ও বিদেশি নৃত্যের মেলবন্ধন ঘটেছে। তিনি নৃত্যকলার পাশাপাশি চিত্রকলাতেও ভূমিকা রেখেছেন।”
নৃত্যকলা ও চিত্রকলা যে একে অপরের পরিপূরক এটি রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন সাহিত্যকর্মে উল্লেখ করেছেন বলেও জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এনামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আকতারুজ্জামান।