মঙ্গলবার বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে গ্রামীণফোনের ১৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা য়(এজিএম) শেয়ারহোল্ডারদের এ কথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ সময় গ্রামীণফোনের সিইও রাজিব শেঠি, অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং কোম্পানির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এজিএম পরিচালনা করেন কোম্পানি সেক্রেটারি হোসেন সাদাত।
সভায় প্রস্তাবিত তরঙ্গ নিলামের সম্পর্কে চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা এখনো আশা করছি, যে সমাগত ১৮০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ নিলাম প্রযুক্তি নিরপেক্ষ হবে এবং নিলাম নীতিমালা যে শর্তটি গ্রামীণফোনের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে তা বাতিল করে গ্রামীণফোনকে নিলামে অংশ নেয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।
“তবে আমাদের বিনিয়োগকারী গণ সিম রিপ্লেসমেন্ট করের দাবি, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা, জাতীয় টেলিযোগাযোগ নীতি নবায়ন ইত্যাদি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার সমাধান না হলে নিলামে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা বলবৎ আছে।”
বাড়তি টুজি ও থ্রিজি তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) বরাদ্দের জন্য নিলামের সময় দ্বিতীয়বারের মত পিছিয়ে আগামী ২৭ মে নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
দীর্ঘদিনের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ না হওয়ায় মোবাইল অপারেটররা বলে আসছে তারা নিলামে অংশ নেবে না।
চেয়ারম্যান তার ভাষণে কোম্পানির উপর আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ শিল্পের সম্ভাবনা, নিয়ন্ত্রণগত অনিশ্চয়তা, সবার কাছে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে গ্রামীণফোনের লক্ষ্য ইত্যাদি বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
গ্রামীণফোন ২০১৪ সালে ৯৫ শতাংশ নগদ অন্তবর্তী লভ্যাংশ প্রদান করে। গ্রামীণফোনের বোর্ড আরো ৬৫ শতাংশ নগদ চূড়ান্ত লভ্যাংশ সুপারিশ করেন ফলে মোট লভ্যাংশের পরিমান দাড়ায় পরিশোধিত মূলধনের ১৬০ শতাংশ (শেয়ার প্রতি ১৬ টাকা)। শেয়ারহোল্ডারা ২০১৪ সালের জন্য সুপাশিরকৃত লভ্যাংশ অনুমোদন করেন।
পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতো এবছরও গ্রামীণফোন দ্রুততার সাথে অনলাইনে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণ করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এজিএম এর অন্যান্য কর্মকান্ডের মধ্যে ছিল ডিরেক্টরস রিপোর্ট ও ২০১৪ এর নিরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ, ডিরেক্টর নির্বাচন/পুনঃনির্বাচন এবং অডিটর নিয়োগ।
গ্রামীণফোন শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হবার পর এটি ছিল ৬ষ্ঠ এজিএম।