রোববার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) ওয়েবসাইটে দরপত্র বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও আশেপাশের অঞ্চলে টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার সেবা দেওয়ার জন্য জিয়োসিক্রোনাস স্যাটেলাইট সিসেস্ট (৪০টি ট্যান্সপন্ডার, ২৬ কেইউ-ব্যান্ড, ১৪ সি-ব্যান্ড) এর গ্রাউন্ড সিস্টেমসহ সব ধরণের যন্ত্রাংশের জন্য এই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
আগামী ২ জুন দুপুর ২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ঠিক করা হয়েছে, যা খোলা হবে একই দিন দুপুর আড়াইটায়।
বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে- এমন সব দেশ দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবে। তবে দরপত্রে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানকে স্যাটেলাইট সিস্টেম তৈরিতে ১৫ বছরের বাণিজ্যিক অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
দরপত্রের আওতায় স্পেস সিগমেন্ট, লঞ্চ সার্ভিস বা উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড সিগমেন্ট এবং উৎক্ষেপণের পর একবছর পর্যন্ত বীমা সুবিধার কথা বলা হয়েছে।
পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে এ দরপত্র সংগ্রহ করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
আগামী ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ স্যাটেলাইট সিস্টেম উৎক্ষেপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত ১৫ জানুয়ারি ‘বঙ্গবন্ধু’ উৎক্ষেপণের জন্য অরবিটাল স্লট ইজারা নিতে চুক্তি করে বিটিআরসি।
‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ স্থাপনের লক্ষ্যে ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অরবিটাল স্লটের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারস্পুটনিক ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অব স্পেস কমিউনিকেশনসকে দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার দেবে বিটিআরসি।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) গত ১৬ সেপ্টেম্বর দুই হাজার ৯৬৮ কোটি টাকার এ প্রকল্প অনুমোদন করে, যার মধ্যে এক হাজার ৩১৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা সরকারের তহবিল থেকে যোগানো হবে।
এছাড়া প্রকল্প সাহায্য থেকে আসবে এক হাজার ৬৫২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। বিডার্স ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্পের অর্থায়নের ব্যবস্থা হবে ।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ‘স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল’ ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসাবে উপগ্রহের নকশা তৈরির কাজ শুরু করেছে।
ভূমি থেকে উপগ্রহটি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর এবং রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) নিজস্ব জমিতে দুটি ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ নির্মাণ করা হবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে যেসব দেশের স্যাটেলাইট নেই তাদেরও সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়ে আসছে বিটিআরসি।