২০১৬ হবে পর্যটন বর্ষ

দেশের বর্তমান ও সম্ভবনাময় পর্যটন স্থানগুলোর পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার, যার অংশ হিসাবে ২০১৬ সাল উদযাপন করা হবে পর্যটন বর্ষ হিসেবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 March 2015, 10:16 AM
Updated : 4 March 2015, 12:01 PM

গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর পর্যটন  বোর্ডের সভায় এ মহাপরিকল্পনা অনুমোদন করা হয়। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় পর্যটন পরিষদের তৃতীয় সভায় বিষয়টি অবহিত করা হয়।

সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের কার্যক্রম দ্রুত ও গতিশীল করতে ২০১৬ সালকে ‘পর্যটন বর্ষ’ হিসাবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০১৫-২০১৮ তিন অর্থবছরে এ খাতে আনুমানিক ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।”

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলোকে আকর্ষণীয় করে বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের বিষয়ে সভায় গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

“শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, নদী পথগুলোকেও পর্যটনের জন্য আকর্ষণীয় করে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য নৌ-বিহার পরিচালনার ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।”

এছাড়া ঐতিহ্যবাহী ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, পাহাড়, চা বাগানসহ আকর্ষণীয় জায়গাগুলোকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী।

“তিনি বলেন, নিজেরা পর্যটনে না গেলে বিদেশিরা আসবে কেন? নিজের দেশের মানুষ যাতে পর্যটনে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী হয় সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে,” বলেন প্রেস সচিব।

পর্যটন শিল্পের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার ও কুয়াকাটাকে আরও পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার ওপর জোর দেন বলে জানান তিনি।

বিদেশি পর্যটক আকর্ষণের জন্য কক্সবাজারে ‘এক্সক্লুসিভ ট্যুরিস্ট জোন’ গড়ে তোলা এবং মিরসরাই থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ তৈরির পরিকল্পনার কথাও সভায় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রেস সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সুন্দরবনকে ইকো ট্যুরিজমের আওতায় আনতে হবে এবং পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে হবে।”

টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ সংলগ্ন এলাকাকে প্রাকৃতিক গ্রামীণ পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার জন্য পর্যটন মন্ত্রণালয় একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়।

প্রেস সচিব জানান, বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক নৌ বিহার পরিচালনার সম্ভাব্যতা নিয়েও সভায় আলোচনা হয়।

“বর্তমানে ভারতের চেন্নাই থেকে একটি ক্রুজ বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে আন্দামান হয়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া হয়ে সিঙ্গাপুরে শেষ হয়। বাংলাদেশ সম্পৃক্ত হলে ক্রুজটি কলকাতা হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে। এ লক্ষ্যে ভারতসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের নৌ প্রটোকল সই করতে হবে।”

পর্যটক আকর্ষণে ‘অন অ্যারাইভাল ভিসা’ সহজীকরণ এবং ‘দীর্ঘমেয়াদী মাল্টিপল ভিসা’ ও ‘ই-ভিসা’ চালুর বিষয়েও আলোচনা হয় বলে প্রেস সচিব জানান।