এজন্য বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা বাড়ানোসহ কোম্পানির কলেবর বাড়াতে বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রবাসীদের কোম্পানির অংশীদার হওয়ার সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাসবিরুল চৌধুরী।
সোমবার লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানির এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তাসবিরুল বলেন, বোয়িং ও এয়ারবাসের বিলাসবহুল অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ যুক্ত করার মাধ্যমে কোম্পানির বহরের আকার দ্বিগুণ করতে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি প্রয়োজন হবে। নতুন নতুন উড়োজাহাজ দিয়ে লন্ডন গ্যাটউইক, বার্মিংহাম ও ম্যানচেস্টার থেকে সিলেট ও ঢাকায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা ইউনাইটেডের রয়েছে।
অভ্যন্তরীণ প্রায় সব রুট ছাড়াও বর্তমানে ঢাকা থেকে কলকাতা, দুবাই, কাঠমান্ডু, জেদ্দা, কুয়ালালামপুর, মাস্কট, সিঙ্গাপুর ও ব্যাংককে ইউনাইটেডের উড়োজাহাজ চলাচল করে।
দেশীয় বাজারে ইউনাইটেডের ফ্লাইটের চাহিদা ছয় শতাংশ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আট শতাংশ হারে বাড়ছে জানিয়ে কোম্পানির চেয়ারম্যান বলেন, “বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো বাংলাদেশের শক্তিশালী বাজারের কথা বিবেচনা করে তাদের উড়োজাহাজের সংখ্যা দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছে।
“বর্তমানে জ্বালানির দাম কমার পাশাপাশি জ্বালানির সাশ্রয়ও হচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার ফ্লাইট পরিচালনা এবং ৪০ লাখের বেশি যাত্রী পরিবহন করেছি, কোনো বড় ধরনের ঘটনা ছাড়াই। আমরা মনে করি এখনই ইউরোপের বাজারে আমাদের কার্যক্রম বাড়ানোর সময়।”
‘ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডে’ বিনিয়োগের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য কিংবা অন্যান্য দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা কোম্পানির অংশীদার হতে পারবেন বলে জানান তাসবিরুল চৌধুরী।
“এর মধ্যে দিয়ে আপনি বিশ্বের অন্যতম ক্রমবর্ধমান একটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হওয়ার পাশাপাশি আমাদের উড়োজাহাজে ভ্রমণেরর সুযোগ পাবেন ভিআইপির মর্যাদায়।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাত্র ১০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করা ইউনাইটেড এয়ার ২০০৭ সালের ৮ জুলাই উড়োজাহাজ চালানোর লাইসেন্স পায়।
৩৭ আসনের একটি ড্যাশ ৮-১০০ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট শুরু করা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত একমাত্র বিমান কোম্পানি। বর্তমানে এর পরিশোধিত মূলধন ৬২৪ কোটি টাকা।
গত চার বছরে প্রতিষ্ঠানটি তার শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৪৭ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।
বর্তমানে এর বহরে ১১টি উড়োজাহাজ রয়েছে।