আগের দিনের চেয়ে ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে বৃহস্পতিবার ডিএসইএক্স পৌঁছেছে ৫ হাজার ২৭ পয়েন্টে। সূচক পুনর্বিন্যাসের পর ২০১৩ সালের ২৭ জনুয়ারি ৪ হাজার ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে এ সূচকের যাত্রা শুরু হয়েছিল।
ডিএসইতে এদিন লেনদেনও বেড়েছে; হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ১০৪ কোটি টাকার শেয়ার, যা গত বুধবারের চেয়ে ১৭১ কোটি টাকা বেশি।
আগের বৃহস্পতিবার এ বাজারে ১ হাজার ২৮৯ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল, যা ছিল সাড়ে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএসইএক্স এদিন ১০১ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৪৩৯ পয়েন্ট।
তবে এ বাজারে লেনদেন কমেছে প্রায় ১ কোটি টাকা; হাতবদল হয়েছে ৭০ কোটি টাকার শেয়ার।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মধ্যে ১৫৯টির দাম বেড়েছে; কমেছে ১২০টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সপ্তাহ শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সে ১৬১ পয়েন্ট যোগ হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৫ কোটি টাকার শেয়ার।
আগের সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচকে যোগ হয়েছিল ১৯০ পয়েন্ট। প্রতিদিন গড়ে ৯২০ কোটি টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল।
সাম্প্রতিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত আড়াই মাস ধরেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক বাড়ছে।
২০১৪ সালের শুরুতে সূচক ৪ হাজার ৭০০ পয়েন্টে ওঠার পর জুনে তা ৪ হাজার ৩০০ পয়েন্টে নেমে আসে। গত আড়াই মাসে তা আবার বেড়ে ৪ হাজার ৯০০ পয়েন্টের ওপরে এসেছে।
২০১০ সালের ৫ জানুয়ারি ডিএসই সাধারণ সূচক ছিল প্রায় ৯ হাজার পয়েন্ট। ব্যাপক ধাসের পর ২০১২ সালের শেষে তা ৪ হাজার ২০০ পয়েন্টে নেমে আসে। সেই ধস ২০১৩ সালেও অব্যাহত থাকে। ডিএসইর সার্বিক সূচক ৪ হাজার ২৬৬ পয়েন্ট নিয়ে ওই বছর শেষ করে।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ব্যাংকগুলোর সুদের হার কমে যাওয়ায় মানুষ বেশি লাভের আশায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছ।