জিএসপি সুবিধা স্থগিতের জন্য কার্যত সরকারকেই দায়ী করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস।
Published : 29 Jun 2013, 09:10 AM
তবে এই সুবিধা পুনর্বহালে নিজের ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছেন নোবেলজয়ী এই বাংলাদেশি।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকারগুলো বাস্তবায়ন না করায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার-সুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।
শনিবার রাজধানীতে এক সম্মেলনে ইউনূস বলেন, “আমরা যেহেতু ক্রেতাদের সন্তুষ্ট করতে পারিনি, তাই তারা জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছে।”
শ্রম অধিকারগুলো বাস্তবায়ন না করা জিএসপি স্থগিতের ‘অন্যতম’ কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে তৈরি পোশাকের ব্যবসা করলেও এখন পর্যন্ত শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি।”
জিএসপি সুবিধা পুনর্বহালে ভূমিকা রাখবেন কি না- যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও সাবেক পরারাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ঘনিষ্ঠ ইউনূসের কাছে এই প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
“আমি সরকারের কেউ না, আমার এখানে ভূমিকা রাখার কিছু নেই,” উত্তর দেন তিনি।
পোশাক কারখানায় বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনায় সহস্রাধিক শ্রমিকের মুত্যুর পর কারখানার পরিবেশ উন্নত করা, শ্রমিকের বেতন বাড়ানোসহ সরকারসহ নানা পক্ষীয় বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যেই জিএসপি স্থগিতের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সরকারের অভিযোগ, এর পেছনে দেশের ভেতরের ও বাইরের কারো কারো হাত ছিল।
সকালে ধানমণ্ডির বেসরকারি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মিলনায়তনে ‘সোশাল বিজনেস ইয়ুথ কনভেনশনে’ প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনূস।
গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে পদক্ষেপে নোবেলজয়ী একমাত্র বাংলাদেশির সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। এর বিপরীতে বিরোধী দলের সমর্থন পাচ্ছেন তিনি।
কয়েকদিন আগে ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গ্রামীণ ব্যাংক বিষয়ে ইউনূসের পক্ষে সমর্থন প্রকাশ করেন।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইউনূস বলেন, “গ্রামীণ ব্যাংককে ধ্বংস করার চক্রান্তের বিরুদ্ধে যে কেউ সমর্থন করতে পারে।”
সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সবুর খান উপস্থিত ছিলেন।