ঢাকা, জুলাই ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- অর্থ মন্ত্রণালয়ের তাগাদা পাওয়ার পর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ছাড়ার কাজে গতি এসেছে।
গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে এ বিষয়ে তাগাদা দিয়ে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অফ বাংলাদেশ- আইসিবিকে চিঠি পাঠানো হয়। আইসিবি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের ইস্যু ম্যানেজার।
আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফায়েকুজ্জামান রোববার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার যত দ্রুত সম্ভব বাজারে আসতে শুরু করবে। "
এ মাসে কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার আসবে কি না- জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "আমরা চাইলেই তো আনতে পারি না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের চুক্তি করতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আমরা চিঠিও পাঠিয়েছি।"
পুঁজিবাজারে শেয়ারের চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্য রাখতে বেশ কিছুদিন ধরেই আরো সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়ার জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জ ও বাজার বিশ্লেষকদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে।
গত ১০ ফেব্র"য়ারি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সাংবাদিকদের জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ধাপে-ধাপে সরকারি ২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে। এর মধ্যে পাঁচটি ইতোমধ্যেই বাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে। তাদের আরো শেয়ার ছাড়া হবে।
এর চার দিনের মাথায় ১৪ ফেব্র"য়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) জানায়, সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়েছে।
তবে এর পরদিন ১৫ ফেব্র"য়ারি অর্থমন্ত্রী বলেন, এসব শেয়ার ছাড়ার সিদ্ধান্ত বাতিল হয়নি। ফেব্র"য়ারিতে যে দুটো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে আসার কথা ছিলো, সেগুলো ফেব্র"য়ারিতে আসছে না। তবে পর্যায়ক্রমে সবগুলোই আসবে।
যে সব সরকারি প্রতিষ্ঠান নতুনভাবে তালিকাভুক্ত হবে তাদের বেশিরভাগের শেয়ার মূল্য নির্ধারণ করা হবে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে। এছাড়া সরাসরি তালিকাভুক্তির (ডিরেক্ট লিস্টিং) মাধ্যমেও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আসবে।
অর্থমন্ত্রী গতবছর থেকেই সরকারি কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়ার কথা বলে এলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। মন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, ২০১০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২৬টি সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে।
তবে এরই মধ্যে রূপালি ব্যাংকের আরো শেয়ার বাজারে ছাড়া শুরু হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ ব্যাংকটির ৭ দশমিক ২৩ শতাংশ শেয়ার বাজারে রয়েছে। বাকিটা রয়েছে সরকারের কাছে।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর ডিএসইএর ওয়েবসাইটে বলা হয়, সরকার রূপালি ব্যাংকের আরো ২৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ (২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮০) শেয়ার বাজারে ছাড়বে।
পরে ১৫ ডিসেম্বর ডিএসই ওয়েবসাইটে আরেক ঘোষণায় বলা হয়, সরকার ২৮ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮০ শেয়ারের পরিবর্তে ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫০ শেয়ার ছাড়বে।
বুধবার ডিএসই ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ৩০ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫০ শেয়ারটি শেয়ারে মধ্যে বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯৩০টি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/আরবি/এমআই/১৪৩০ ঘ.