এ বিষয়ে সংস্থার সব জেলা কার্যালয়ে সম্প্রতি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
কোরবানির পশুর চামড়ায় লবণ দিতে বিলম্ব হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেকারণে এবার পশুর চামড়ায় লবণ দিতে কোরবানিদাতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়।
বিসিকের চিঠিতে বলা হয়, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য গরু-মহিষের চামড়া প্রতি ৭-৮ কেজি এবং ছাগল-ভেড়ার চামড়া প্রতি ৩/৪ কেজি লবণ প্রয়োজন হয়।
“স্থানীয়ভাবে অস্থায়ীভিত্তিতে চামড়া সংরক্ষণের জন্য কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানোর ৪/৫ ঘণ্টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে লবণ প্রয়োগ করতে হবে। লবণ দিয়ে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণের জন্য পশু কোরবানির আগেই প্রয়োজনীয় পরিমাণ লবণ কোরবানিদাতার সংগ্রহ করা প্রয়োজন।”
বিসিক কর্মকর্তা সরোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকাসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ হাটগুলোতে ডিলারের মাধ্যমে লবণের মজুদ রাখার ব্যবস্থা করছে বিসিক। এছাড়া লবণ সংক্রান্ত ও চামড়া সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হলে সমাধানের জন্য বিসিকের পক্ষ থেকে হটলাইন চালু করা হয়েছে।
বিসিকের আরেক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, কোরবানি উপলক্ষে প্রতিবছর ৮০ থেকে ৯০ হাজার টন লবণের প্রয়োজন হয়। যেহেতু লবণের পুরো ব্যবসা বিসিকের আওতাধীন, তাই সারাদেশের মিল মালিকদের তারা এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করেছেন। কোরবানির পশুর হাটগুলোর আশপাশে যেন লবণের কোনো সঙ্কট না হয়, সেজন্য তাদের আঞ্চলিক দলগুলো তৎপর রয়েছে।
“শুক্রবার সকাল থেকে গাবতলী পশুর হাটে এক টন লবণের মজুদ নিয়ে বিসিকের ট্রাক থাকবে। সেখান থেকে বিনামূল্যে লবণ বিতরণ করা হবে।”