রোববার কোম্পানির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সহযোগী কোম্পানি আরএফএল ইলেকট্রনিক্স এ ঋণ হোম অ্যাপ্লায়েন্সের উৎপাদন বাড়াতে ব্যবহার করবে। এতে কমপক্ষে ৬০০ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, ঋণের এ অর্থ ডাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আরএফএল ইলেকট্রনিক্সের নতুন কারখানা ভবনে রেফ্রিজারেটরের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানো এবং রাইস কুকার, ব্লেন্ডারসহ ছোট অ্যাপ্লায়েন্স সংযোজনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া কর্মসংস্থানের সুযোগ হতে যাওয়াদের মধ্যে ৪০ শতাংশ আধা-দক্ষ শ্রমিক তৈরি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠানটি আরএফএল ইলেকট্রনিক্সকে উৎপাদন ও সংযোজনে সহায়তার জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছিল।
বাংলাদেশে বিআইআইয়ের কান্ট্রি ডিরেক্টর এম রেহান রশিদ বলেন, “আমরা এই ঋণের মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও গভীর করছি।
“কোম্পানিটির পরিবেশগত ও সামাজিক কৌশল শক্তিশালীকরণ, অভ্যন্তরীণ ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উদ্যোগকে শক্তিশালী করতে কাজ অব্যাহত রাখবে বিআইআই।”
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান খান চৌধুরী বলেন, "ঋণ সুবিধাটি স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সহায়তা করবে।
আমাদের এখানে বিনিয়োগের জন্য বিআইআইকে ধন্যবাদ জানাই এবং প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের ভবিষ্যত প্রবৃদ্ধির প্রচেষ্টায় তাদের অব্যাহত সমর্থন আশা করছি।”
ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেন, “বিআইআই বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএলে তার বিনিয়োগ দ্বিগুণ করছে। বিনিয়োগটি নারীদের কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রাণ-আরএফএলের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।“