বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া ২০২১-২০২২ অর্থবছরে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৫৯ হাজার ২৫৬ কোটি টাকা রাজস্ব বাবদে আদায় করেছে, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪ হাজার ৭৫ কোটি টাকা।
২০২০-২০২১ অর্থবছরে আদয় হয়েছিল ৫১ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকার রাজস্ব। সেই হিসাবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ শতাংশ।
সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সাতটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তিন হাজার ৮৮৪ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় প্রত্যাশার তুলনায় রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে জানালেন চট্টগ্রামের কাস্টমস কমিশনার মো. ফখরুল আলম।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে না পারলেও আগের বছরের চেয়ে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। মহামারীর সময়ে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত ছিল।
“রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বিভিন্ন কারণে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে প্রতিকূল সময় গেলেও রাজস্ব আদায় সব মিলিয়ে ভালো। সাতটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বকেয়া রাজস্ব পেলে আদায় আরও বাড়ত।”
মেঘনা পেট্রোলিয়ামের কাছে ২৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা, পেট্রোবাংলার কাছে ৩৬৯৯ কোটি ২৮ লাখ, পদ্মা অয়েলের কাছে ১১৬ কোটি ৭৩ লাখ, স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েলের কাছে ৫৭ লাখ, সামিট এলএনজির কাছে ৫ কোটি ১১ লাখ, এক্সিলারেট এনার্জির কাছে ১৩ লাখ এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে ৩৪ কোটি ২১ লাখ টাকার রাজস্ব পাওনা রয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।