কর্পোরেট ব্যান্ড সঙ্গীত প্রতিযোগিতার পর্দা নামল

রাজধানীতে হয়ে গেল কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের নিয়ে ব্যান্ড-সঙ্গীত প্রতিযোগিতা ‘সিম্ফনি- ব্যান্ডস ইন সিঙ্ক’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2022, 11:25 AM
Updated : 27 June 2022, 11:25 AM

প্রতিযোগিতার প্রথম এই আসরে বিজয়ী হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো। রানারআপ হয়েছে ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড ও দ্বিতীয় রানারআপ হয়েছে রবি আজিয়াটা লিমিটেড।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের আয়োজনে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম শুরু হয়েছিল এই কর্পোরেট ব্যান্ড-সঙ্গীত প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি ঢাকায় এর গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রতিযোগিতায় ব্যান্ড দলগুলো দেশপ্রেমকে চেতনায় ধারণ করে এবং পদ্মা সেতুর উদ্বোধনকে উৎসর্গ করে বিভিন্ন গান পরিবেশন করে।

অসংখ্য প্রতিযোগীর মধ্যে ফাইনালিস্ট ছিল ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, ব্র্যাক, ম্যারিকো বাংলাদেশ লিমিটেড, রবি অ্যাজিয়াটা লিমিটেড এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড।

দেশের বিকাশ ও সমৃদ্ধির ৫০ বছর উদযাপনের সময় কর্পোরেট জগতের প্রতিভাবান সঙ্গীতশিল্পীদের তুলে ধরতে পারায় ভীষণ আনন্দিত বলে জানান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ-এর সিইও নাসের এজাজ বিজয়।

তিনি বলেন, “ এই আনন্দক্ষণ মূহুর্তে আমি পদ্মা সেতু উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই, যা কোটি কোটি বাংলাদেশির কাছে শুধুমাত্র একটি সেতুই নয় বরং বাংলাদেশের নিজের সক্ষমতায় স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করার এক দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রতিফলন।

“পদ্মা সেতু যেমন দেশের কোটি মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে, ‘সিম্ফনি- ব্যান্ডস ইন সিঙ্ক’ তেমনি এই প্রতিটি ব্যান্ডের জন্য দেশের সংগীতাঙ্গনে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।”

এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ‘সিম্ফনি-ব্যান্ডস ইন সিঙ্ক’-এর প্রথম পর্ব শেষ হল। গত বছরের শেষে ব্যাংকের রিলেশনশিপ ম্যানেজারদের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর কর্পোরেট ক্লায়েন্টদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে তাদের ব্যান্ড দলগুলোর নিবন্ধনের আমন্ত্রণ জানানো হয়।

প্রতিযোগিতার প্রাথমিক পর্যায়ে আগ্রহী ব্যান্ডগুলো তাদের আগের রেকর্ড করা অডিও ট্র্যাক জমা দেয়। পরে বিচারকমণ্ডলীর মূল্যায়নের ভিত্তিতে এবছরের গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য পাঁচটি ব্যান্ডের নাম চূড়ান্ত করা হয়।

নির্বাচিত হওয়ার পর চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণকারীরা বিচারকদের পক্ষ থেকে ওয়ান-টু-ওয়ান পরামর্শ নিয়ে দুই মাস অনুশীলনের সুযোগ পায়।

প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বাপ্পা মজুমদার, পার্থ বড়ুয়া, নকীব খান ও শাফীন আহমেদ।