মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে তা গৃহীত হওয়ার কথা জানিয়ে আইডিআরএ চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করে।
অবৈধ সম্পদ অর্জন, শেয়ারবাজারে কারসাজি ও অন্যান্য আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায় ছিলেন মোশাররফ।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বুধবার দুপুরে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই দায়িত্ব কে পাচ্ছেন, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এম মোশাররফ হোসেনকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
দেশের বীমা কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সদস্য থেকে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে তিন বছরের জন্য চেয়ারম্যান হন মোশাররফ। সেই হিসfবে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার ওই পদে থাকার সুযোগ ছিল।
পেশাদার হিসাববিদ মোশাররফ একাধিক জীবন বীমা কোম্পানিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। মার্চেন্ট ব্যাংকের সিইও হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এছাড়া বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সহ-সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
গত বছরের মার্চে ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স থেকে ঘুষ দাবি করার অভিযোগ ওঠে মোশাররফের বিরুদ্ধে। এরপর তার বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে দুদকে তলবও করা হয়।
বিষয়টি হাই কোর্টেও গড়ায়। আইডিআরএ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে কোটি কোটি টাকা লেনদেন, দুর্নীতি, অর্থপাচারের অভিযোগের ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, গত বছর নভেম্বরে দুদক ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে তা জানতে চায় হাই কোর্ট।
পুরনো খবর