ব্যাংক কর্মী ও সেবা নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগ গ্রহণ না করার কয়েকটি ঘটনার পর মঙ্গলবার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এরইমধ্যে বেসরকারি একটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে উচ্চ আদালতে গেছেন এক গ্রাহক।উচ্চ আদালতে গিয়ে নিজের পক্ষে আদেশ পেয়েছেন সেই ভুক্তভোগী গ্রাহক।
ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো পরিপত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, “কোনো কোনো ব্যাংক শাখা কর্তৃক গ্রাহকের অভিযোগ/আবেদনপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে না মর্মে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গোচরীভূত হয়েছে। অধিকন্তু, কোনো কোনো ব্যাংক অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক কর্তৃক দাখিলকৃত অভিযোগ/আবেদনপত্রের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না মর্মেও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
“… গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ এবং ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ মর্মে নির্দেশনা প্রদান করা যাচ্ছে যে, ব্যাংকের আমানতকারী ও ঋণগ্রহীতাসহ সকল ধরনের গ্রাহকের অভিযোগ/আবেদনপত্র ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ যে দপ্তরেই দাখিল করা হোক না কেন তা প্রাপ্তিস্বীকার প্রদানের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে ।”
২০০৫ সালের ৫ জানুয়ারি অভিযোগ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে নির্দেশনা দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সাধারণভাবে ১০ দিনের মধ্যে অভিযোগ নিষ্পত্তির নির্দেশনা দিয়ে সেখানে বলা হয়, কোনো অবস্থাতেই নিষ্পত্তির সময় ৪৫ দিনের বেশি হবে না।
শুরুতে কেবল প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য সেল গঠনের বাধ্যবাধকতা ছিল। পরে তা জোনাল অফিসেও বাধ্যতামূলক করে ২০১১ সালের ২৬ জুলাই আরেকটি পরিপত্র জারি করা হয়।