পোল্ট্রি, মৎস্য ও কৃষিতে আরও শুল্ক ছাড়

বৈশ্বিক পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে দেশি যোগান থেকে পুষ্টি চাহিদা পূরণ সহজ করতে গোখাদ্য, পোল্ট্রি শিল্প ও বেশ কিছু কৃষি যন্ত্রপাতিতে শুল্ক সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 June 2022, 03:40 PM
Updated : 9 June 2022, 03:40 PM

বৃহস্পতিবার ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে এসব খাতে বিভিন্ন হারে আমদানি শুল্কে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

একই সঙ্গে মৎস্য, পোল্ট্রি ও ডেইরি খাতের টেকসই উন্নয়ন ও বিকাশে এসব খাতের খাদ্যসামগ্রী ও নানাবিধ উপকরণ আমদানিতে বিগত সময়ের শুন্য শুল্কহার এবং অন্যান্য হারে রেয়াতি সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

তবে বাজেটে এসব প্রস্তাবে খুশি নন পোল্ট্রি খাতের উদ্যোক্তারা। বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় তারা আরও কিছু ছাড় আশা করেছিলেন।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার জাতীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এম মহসীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বর্তমানে বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পোল্ট্রি শিল্পে উৎপাদন ব্যয় যেভাবে মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে সেখানে বাজেটের এই শুল্ক হ্রাসের উদ্যোগ খুবই সামান্য।

“আমাদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব ছিল বিশ্ববাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বা আগামী তিন বছর যেন পোল্ট্রি শিল্প সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওপর থেকে সব শুল্ক প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।“

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। ছবি: পিআইডি

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশি পোল্ট্রি শিল্পের খাদ্য প্রস্তুতে হোয়েট গ্লুটেন ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে উক্ত পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। প্রাণীজ শিল্পের উৎপাদন ব্যয় কমানো এবং ভোক্তাদের স্বল্প মূল্যে আমিষের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যমান শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন তিনি।

“গোখাদ্য তৈরিতে সুগারকেইন মোলাসেস এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গোখাদ্যের উৎপাদন ব্যয় কমাতে বর্ণিত পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ১৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।”

অর্থমন্ত্রী পোলট্রি শিল্পে খাতে ব্যবহৃত তিনটি নতুন উপকরণ টেস্ট কিটস, মোলাসেস ফিড গ্রেড ও কেন মোলাসেস ফিড গ্রেডের ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নতুন দুটি কৃষি যন্ত্রপাতি কম্বাইন হারভেস্টার থ্রেশার ও অন্যান্য মাড়াই মেশিনারিজ খাতের জন্য বিদ্যমান এসআরওতে অন্তর্ভুক্ত করে রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মুস্তফা কামাল আরও বলেন, কৃষি ও খাদ্য শিল্পে ব্যবহার হওয়া কোল্ড স্টোরেজ ফ্রিজার এবং চিলার এর ওপর উচ্চহারে আমদানি শুল্ক রয়েছে। ফলে দেশীয় কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে।

“কৃষিভিত্তিক খাদ্য সংরক্ষণ কাজে ব্যবহৃত কোল্ড স্টোরেজ ফ্রিজার এর জন্য রেয়াতি হারে আমদানির সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করছি। একইসঙ্গে কোল্ড স্টোরেজ চিলার আমদানিতে মোট করভার ৩৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি।“

প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষিখাতের জন্য ব্যবহৃত কীটনাশকের কাঁচামালেও করছাড় দেওয়া হয়েছে।

কৃষিকাজে ব্যবহৃত কীটনাশক প্রস্তুতে ব্যবহৃত কিছু কাঁচামালের বিদ্যমান রেয়াতি সুবিধা সম্প্রসারণের প্রস্তাবও করেন তিনি।