খাদ্য ব্যবসায়ীদের এক সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখভালে যুক্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই ছাদের নিচে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 June 2022, 07:56 PM
Updated : 7 June 2022, 07:56 PM

তবে তদারক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কোন মন্ত্রণালয় দায়িত্ব পালন করবে, সেবিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার ঢাকায় বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘উন্নত অর্থনীতির জন্য নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

খাদ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স দেয় শিল্প মন্ত্রণালয় অধিভূক্ত প্রতিষ্ঠান বিএসটিআই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় খাদ্য বিষয়ক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন দিক তদারকি করে থাকে, যেখানে খাদ্যের মানের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। হোটেল রেস্তোরাঁয় ব্যবসা করার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তর ও অন্যান্য সংস্থার লাইসেন্স নিতে হয়। এসব প্রতিষ্ঠানিক তৎপরতার মধ্যে স্বাস্থ্য সম্মত ও মান সম্মত খাবার নিশ্চিতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ নিরাপদ কর্তৃপক্ষ থাকলেও তাদের তৎপরতা তুলনামূলক কমই লক্ষ্য করা যায়।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীরা সরকারি ১৮টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়। একারণে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়। এজন্য খাদ্য ব্যবসায়ীদের এক সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছে।

“তবে খাদ্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এজন্য কারা তদারকি করবে, সে বিষয়টি কেবিনেট (মন্ত্রিপরিষদ সভা) উত্থাপন করা হয়েছে। কেবিনেট বলে দেবে এগুলো কার কাজ।”

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাদ্য নিরাপত্তায় সবথেকে বেশি কাজ করলেও তারা লাইসেন্সিং অথরিটি নয়। এক্ষত্রে অনকে সময় কাজ করতে সমস্যা হয়।”

চাল নিয়ে তিনি বলেন, চাল নিরাপদ করতে আমরা সেটা কতটুকু ছাঁটায় করা যাবে, কী মেশানো যাবে, কোনটা যাবে না, সে আইন করছি। তাতে পুষ্টিমান ঠিক থাকবে। খসড়া আইনটি কেবিনেটে পাশ হয়ে এখন ভেটিংয়ে রয়েছে। আশা করছি আগামী অধিবেশনে সেটি পাস হবে। তখন চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।”

খাদ্যসচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন মিয়া, এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ রবার্ট সিম্পসন বক্তব্য রাখেন।