কাফকোর জন্য গ্যাসের দাম বাড়াল কেডিজিসিএল

গ্যাসের ইউনিট মূল্য দুই টাকা করে বাড়িয়ে দেশের একমাত্র বহুজাতিক সার উৎপাদনকারী কারখানা কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানির সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি নবায়ন করছে বিতরণ সংস্থা কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি-কেডিজিসিএল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2022, 04:23 PM
Updated : 26 May 2022, 04:23 PM

বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে দুই সংস্থার মধ্যে স্থাপিত তিন বছর মেয়াদি গ্যাস সরবরাহ চুক্তি পর্যালোচনার বিষয়টি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, “কাফকোর সঙ্গে বিতরণ কোম্পানি কেডিজিসিএলের একটি চুক্তি ছিল। সেই চুক্তির কারণে আমরা লস দিচ্ছিলাম। এখন কিছু টেকনিক্যাল বিষয় সংযুক্ত করে এবং ইউনিট প্রতি দাম দুই টাকা করে বাড়িয়ে নতুন চুক্তি করা হবে।

তিনি জানান, প্রতি ঘনমিটার গ্যাস কাফকোকে ১২ টাকা দরে দেওয়া হচ্ছিল। তাতে সরকারকে লোকসান দিতে হচ্ছিল।

“কারণ আমরা এখন বেশি দামে বিদেশ থেকে কিনছি। সেজন্য চুক্তিটা পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছিল। এটার জন্য কমিটি আছে, তারা পর্যালোচনা করেছে। এখন নতুন করে চুক্তি হবে। সেই চুক্তির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে।”

নতুন দর কত হবে জানতে চাইলে জিল্লুর রহমান বলেন, “আগে যেটা ১২ টাকা ছিল, এখন ১৪ টাকা রেট ধরা হয়েছে। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ২০ ডলার মূল্যবৃদ্ধির জন্য ইউনিট প্রাইস ১ টাকা করে বাড়তেই থাকবে। এভাবে নিয়ম সেট করা হয়েছে।

“যেমন ২৫০ ডলারের স্থলে যদি ২৭০ ডলার হয়, তাহলে ইউনিট প্রাইস ১৪ টাকার স্থলে ১৫ টাকা হয়ে যাবে। ২৭০ ডলারের স্থলে যদি ২৯০ ডলার হয়, তাহলে এদিকে ১৬ টাকা হয়ে যাবে। এভাবে বাড়বে। তাতে আমাদের ৯০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা কাফকোর কাছে পাওয়া যাবে। চুক্তির আওতায় এটাও থাকবে যে, এরিয়ার হিসাবে যেটা জমা থাকবে সেটাও যেন দিয়ে দেয়।”

এখন যে চুক্তিটি পর্যালোচনা করা হয়েছে, এটি তিন বছর মেয়াদের একটি চুক্তি। এই চুক্তির দেড় বছর ইতোমধ্যে অতিক্রম হয়েছে। সামনে আর দেড় বছর বাকি আছে।

অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটিতে এ দিন কক্সবাজারের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর অত্যাবশ্যকীয় ঔষধ রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড থেকে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে কেনার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।