টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রি বন্ধ কেন, ব্যাখ্যা দিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকে করে সয়াবিন তেলসহ নিত্য পণ্য বিক্রির পরিকল্পনা কেন বাদ দেওয়া হল, সেই কারণ বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 May 2022, 09:28 AM
Updated : 16 May 2022, 11:11 AM

সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যের পণ্য বিক্রিতে সুফল পায় কেবল শহরের মানুষ। গ্রামের মানুষকেও সেই সুফল দিতে জুনের শুরু থেকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি মানুষের কাছে কম দামে পণ্য বিক্রি করা হবে। 

“১৬ তারিখ থেকে যেটা দিতে চেয়েছিলাম, সেটা কিন্তু এক কোটি মানুষকে নয়, ট্রাকে করে ঢাকা-চট্টগ্রাম এমন শহরগুলোতে। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন, শহরের এই মানুষগুলোকে দেওয়া হচ্ছে, গ্রামের মানুষকে তো দেওয়া হচ্ছে না। একটু সময় নিয়ে ঢাকাতে আমরা দেব এবং গ্রামেও দেব।"

বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য মূল্য সহনীয় রাখার লক্ষ্যে টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকের সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য বিক্রি করত। পরে তা স্থগিত করে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ শুরু হয়।

ঈদের সরকারি এই সংস্থা জানিয়েছিল, ১৬ মে থেকে আবার সারাদেশে সব মহানগরী, জেলা ও উপজেলায় ৩০০টি খোলা ট্রাকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।

টিসিবির ট্রাক সেলে ১১০ টাকায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রির কথা ছিল, যেখানে বাজারে দাম ২০০ টাকার কাছাকাছি। এছাড়া টিসিবির ট্রাকে প্রতি কেজি চিনি ৫৫ টাকা, মশুর ডাল ৬৫ টাকা এবং ছোলা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছিল।

কিন্তু বুধবার সরকারের এক আদেশে বলা হয়, ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিতরণ বাস্তবায়নের জন্য চলতি মাসের ১৬ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত স্বল্প পরিসরে সাধারণ ট্রাকসেল কার্যক্রম বাদ দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে টিসিবি ভর্তুকি মূল্যে ভোজ্য তেল, মশুর ডাল, চিনি দেবে।

“ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ফ্যামিলি কার্ড প্রণয়ন ও বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর থেকে শুধু ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমেই টিসিবির পণ্য সামগ্রী বিক্রি হবে।”

সোমবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে 'বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)' আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপ’-এ এসে টিসিবির ট্রাক সেল বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণ ব্যাখ্যা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “ঢাকায় ট্রাকে করে দেওয়া হয় ১৫ লাখ মানুষকে। বাকি ৮৫ লাখ দরিদ্রের কার্ড থাকে, তাদেরকে দেওয়া হয়। ইনস্ট্রাকশনটা এসেছে এবং আমরাও রি-অ্যারেন্জ করেছি। ৮৫ লাখ মানুষকে বাদ দিয়ে ১৫-১৬ লাখ মানুষকে দেওয়ার চেয়ে একটুখানি সময় নিয়ে…”

ঢাকা ও বরিশালে কারা ফ্যামিলি কার্ডে পণ্য পাবে, সেই তালিকা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তৈরি করে জুনের শুরু থেকেই এক কোটি মানুষকে পণ্য দেওয়ার পরিকল্পনা জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, “এই ১৫ দিন আমরা পিছিয়ে গেছি, আসলে আরো বেশি অ্যাডভ্যান্স হওয়ার জন্য।”

তিনি বলেন, “আমরা এক কোটি মানুষকে টিসিবির পণ্য দিয়েছি দুইবার। আমাদের মাথায় আছে এক কোটি মানুষকে দেওয়া রেগুলার করব।”