-
নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন কারখানার মালিকরা সাদা সুতা রঙে ছোপাতে নিয়ে যান পুরিন্দা গ্রামের মহাজনদের কাছে।
-
শ্রমিকরা প্রথমে সুতাগুলো সাবান মেশানো গরম পানিতে ভালো করে ধুয়ে নেন।
-
রঙ ও রাসায়নিক মিশ্রিত পানিতে পা দিয়ে কয়েক ধাপে সুতায় রঙ মাখান শ্রমিকরা।
-
নানা রকম রাসায়নিক মিশিয়ে, জ্বাল দিয়ে বিভিন্ন সুতায় মালিকের চাহিদা অনুযায়ী রঙ করেন শ্রমিকরা।
-
সবশেষ ধাপে রঙ আর রাসায়নিক মেশানো পানি ভর্তি পাত্রে কাপড়গুলো ভিজিয়ে রাখেন কিছুটা সময়।
-
এরপরে হাতের সাহায্যে পাত্রে ভেজানো সুতা থেকে রঙ ছাড়ানো হয়।
-
রঙ করা শেষে খোলা জায়গায় কিংবা সড়কের পাশে শুকানো হয় সুতা।
-
বাইরে রোদ থাকলে এক ব্যাচ সুতা শুকাতে সময় লাগে ঘণ্টা তিনেকের মত।
-
মাঝে কমপক্ষে দুইবার সুতাগুলো নেড়েচেড়ে দিতে হয়।
-
রঙের ধরন অনুযায়ী ১০ পাউন্ড সুতা রঙ করে শ্রমিকরা পান ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা। ছয়জন শ্রমিকের একটি দল দিনে ৭০-৮০ পাউন্ড সুতায় রঙ করতে পারেন।
-
সুতা রঙ করা শ্রমিকরা বছরের পর বছর কাজ করে চলছেন কোনো রকম সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়াই। ফলে তাদের হাতে পায়ে সব সময়ই রঙ লেগে থাকে।
-
বিভিন্ন রকম রাসায়নিক নিয়ে সারাদিন কাজ করায় শ্রমিকদের বেশিরভাগই ভোগেন পেটের পীড়া ও নানা রকম চর্মরোগে।
-
সুতা রঙ করার শ্রমিকদের থাকা ও খাবারের খরচ মহাজনের। এর বাইরে মজুরি বাবদ একজন শ্রমিকের মাস শেষে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা থাকে।
-
পুরিন্দা গ্রামে রং করা এসব সুতা দিয়ে লুঙ্গি, গামছা, এমনকি থ্রিপিসও বোনা হয়।
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার পুরিন্দা গ্রামের সর্বত্রই চোখে পড়ে শুকাতে দেয়া সারি সারি রঙিন সুতা। বাড়িতে বাড়িতে সারাদিন চলে সুতা রাঙানোর কাজ।