শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে ৭০ জন যাত্রী নিয়ে ‘পরীক্ষামূলক বাণিজ্যিক’ ফ্লাইটটি ঢাকা ছাড়ে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্সটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
দীর্ঘদিন থেকে এ রুটে ফ্লাইট চালানোর চেষ্টা করে আসছিল বিমান বাংলাদেশ।
এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে টরন্টোতে সরাসরি ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ। তবে মহামারীর কারণে সেই পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন করতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিটি।
ঢাকা-টরন্টো সরাসরি বিমান যোগাযোগ শুরুর বিষয়ে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। বিমানের এই রুট চালু হলে কানাডার পাশাপাশি নিউ ইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশিরাও উপকৃত হবেন।
টরন্টো থেকে প্রতিদিন অনেক ফ্লাইট নিউ ইয়র্কে যায় বলে ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্কগামীদের জন্য সুবিধা হবে বলে বিমানের কর্মকর্তারা বলে আসছিলেন।
নিয়মিত ফ্লাইটের প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার আগেই ‘পরীক্ষামূলক’ এ ফ্লাইট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে ব্যাখ্যা দেয় বিমান কর্তৃপক্ষ।
সেখানে জানানো হয়, পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের যাতায়াতে খরচ হবে চার কোটি টাকার মত। ওই ফ্লাইটের যাত্রীদের বেশিরভাগই সরকারি কর্মকর্তা। টরন্টো পথে নিয়মিত ফ্লাইট শুরু হতে আরও অন্তত ১২ সপ্তাহ লাগবে।
অত্যাধুনিক মডেলের বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনারের মাধ্যমে টরন্টো ফ্লাইট পরিচালিত হচ্ছে।
এতে বলা হয়, ঢাকা-টরন্টো রুটের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বিমানের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান এবং পরিচালক ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশে কানাডিয়ান হাইকমিশনের ট্রেড কমিশনার কামাল উদ্দিন।
তবে ওই ফ্লাইটের যাত্রী কারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি বিমানের বিজ্ঞপ্তিতে।
আরও পড়ুন: