বুধবার কাতারের দোহায় হোটেল শেরাটনে কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের আলোচনায় বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
দেশটির সঙ্গে বর্তমানে বার্ষিক ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) থেকে ২ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহের জন্য ১৫ বছর মেয়াদী চুক্তি কার্যকর রয়েছে।
এর সঙ্গে বার্ষিক আরও এক এমটিপিএ এলএনজি যুক্ত হচ্ছে বলে বলে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মঙ্গলবার কাতারের দোহায় কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সা’দ শেরিদা আল কাবিরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আরও বেশি এলএনজি কেনার প্রস্তাব দেন।
“কাতারের সঙ্গে বিদ্যমান এলএনজি বিক্রয় ও ক্রয় চুক্তি (এসপিএ)’র ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আরও বেশি এলএনজি আমদানি করতে আগ্রহী। ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে বার্ষিক অতিরিক্ত এক মিলিয়ন টন এলএনজি কাতার থেকে কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ। সেজন্য একটি সাইড লেটার চুক্তির মাধ্যমে কার্যকর করা যেতে পারে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাতারের জ্বালানি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রস্তাব আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং কাতার গ্যাস ও কাতার এনার্জিকে বাংলাদেশের পেট্রোবাংলার সঙ্গে বসে প্রস্তাবিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ চৌধুরী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২০১১ সালে কাতারের জ্বালানি ও শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের বিদ্যুৎ,জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই সমঝোতার আলোকে ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বার্ষিক ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন টন (এমটিপিএ) থেকে ২ দশমিক ৫ এমটিপিএ এলএনজি সরবরাহের জন্য ১৫ বছর মেয়াদী ‘এলএনজি সেলস এন্ড পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এসপিএ)’ সই হয়।
ওই চুক্তির পর থেকে ২০২২ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের জন্য ১৩৭টি কার্গোতে করে ৮ দশমিক ৪২৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন এলএনজি কিনেছে পেট্রোবাংলা।