বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ভোজ্যতেল আমদানিকারকরা বার বার বলেছে দাম বাড়ানোর জন্য। কিন্তু আমার অসুস্থতার কারণে তাদের সঙ্গে বসতে পারিনি। তারা বলেছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আমরা কিছু আলোচনা করেছি, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বলেছি এখন যেটা দাম আছে তার থেকে কিছুটা হলেও কমানো যায় কিনা আপানারা দেখেনে।“
চলতি মাসের শুরুতে ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ৮ টাকা করে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে তখন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আমরা বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে তথ্যগুলো সংগ্রহ করব, দাম নিয়ে প্রয়োজনীয় ক্যালকুলেশন করব। ডিউটি স্ট্রাকচার,আন্তর্জাতিক বাজার, যে ধরনের ব্রেকআপ হওয়ার প্রয়োজন এসব নিয়ে আমরা আলোচনা করব। ১৫ দিন পরে বসে ঠিক করব।”
“তারা কিছুটা স্লো যাচ্ছিল, এলসি ওপেন করবে কি করবে না। সামনে রমজান আসছে। তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিল এলসি ওপেন করবে কি না। আমরা বলেছি আপনারা এলসি খোলেন। আমরা পরে হিসাব করে ব্যবস্থা নেব।”
বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দামে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন প্রতি লিটার ১৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। গত বছরের ১৯ অক্টোবর লিটারে ৭ টাকা করে বাড়ানোর পর এ দর নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে বাজারে তেল বিক্রি হচ্ছে এর চেয়ে বেশি দামে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেঘনা গ্রুপের একজন প্রতিনিধি জানান, যখন সর্বশেষ দাম ঠিক করা হয়েছিল তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১২৫০ ডলার থেকে ১৩০০ ডলার। এখন সেটা ১৪০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সে কারণে তারা মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রতিবেশী দেশ ভারতও আমাদের মত করে তেল আমদানি করে। আজকে তাদের মার্কেটে দাম লিটার ১৭০ টাকার কাছাকাছি। ভারতে ফ্রেইট চার্জ কম, ডিউটি স্ট্রাকচারও কম। আমাদের যেখানে ১৮/২০ শতাংশ তাদের সেখানে ডিউটি মাত্র ৫ শতাংশ।
“আমাদের অফিসারদের বলেছি আলোচনার পয়েন্টগুলো ঠিক করেন। আগামী মাসের ৬ ফেব্রুয়ারি বসে আলোচনা করে দাম যা করা দরকার তা করব। বাড়াতে হলে বাড়াব, কমাতে হলে কমাব।”