এলডিসি থেকে উত্তরণে ‘উদ্বেগ’ নেই: বিজিএমইএ সভাপতি

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যুক্ত হলেও পোশাক রপ্তানিকারকরা উদ্বিগ্ন নন বলে মন্তব্য করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2022, 05:54 PM
Updated : 5 Jan 2022, 05:54 PM

তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ইতিমধ্যে বিজিএমইএ ও সরকার ক্রেতা দেশগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে।

বুধবার ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, দক্ষতা উন্নয়ন, বিনিয়োগ বাড়ানো, পণ্য ও বাজার বহুমুখীকরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

ফলে কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধাহীন বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের টিকে থাকা নিয়ে আপাতত কোনো সংশয় দেখা যাচ্ছে না।

ফারুক হাসান বলেন, ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রস্তুতিকাল ২০২৬ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারের সুবিধা নেওয়ার কৌশল নিয়ে এগুচ্ছি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে বাড়তি তিন বছর অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা দেবে তা আরও তিন বছর বাড়ানোর আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।

“বিজিএমইএ ইইউর কাছে ১০ বছরের জন্য এই সুবিধা চায়। এরপরে ইইউর সঙ্গে জিএসপি প্লাস নিয়ে আলোচনা করা হবে।”

পোশাক মালিকরা চান এই সময়ের মধ্যে সরকার অন্যান্য দেশের সঙ্গে মুক্ত ও অগ্রাধিকারমুলক বাণিজ্য চুক্তি করবে, যোগ করেন তিনি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কৌশলের অংশ হিসেবে দেশে বেশি করে কৃত্রিম তন্তুর পোশাক বেশি তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য গবেষণা জোরদার করা হয়েছে। এক কথায় বিজিএমএর ভূমিকা ভবিষ্যতমুখী করার চেষ্টা চলছে।

এক প্রশ্নে উত্তরে যুক্তরাষ্টের বাজারে জিএসপি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেসব শর্ত দিয়েছিল সেগুলো পোশাক মালিকরা ও সরকার বাস্তবায়ন করেছে।

কমপ্লায়েন্স বা নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে এদেশের উদ্যোক্তারা প্রচুর বিনিয়োগ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের নিরাপদ কারখানা এখন বাংলাদেশে। ১৫৩টি গ্রিন কারখানা রয়েছে দেশে। ব্যবসায়ীরা তাদের কাজ করেছেন। এখন জিএসপি দেওয়া না দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়।

বাংলাদেশের র‌্যাব ও সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ব্যবসায় পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ব্যবসায়ীরা চিন্তিত। তবে ব্যবসায়ীদের কাজ তারা করছেন। আমরা কোনো বাজার হারাতে চাই না।

বিজিএমইএ সভাপতি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভিহিত করে বলেন, ব্যবসায়ী হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে প্রত্যাশা, কারখানায় উৎপাদন ও পণ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়, এমন কোনো কর্মসূচি যাতে তারা না নেয়।

“আমি মনে করি না ব্যবসা করতে গেলে রাজনৈতিক আশীর্বাদ লাগে,” যোগ করেন তিনি।

রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে সংলাপটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।