এক এনআইডিতে পাঁচটির বেশি সিম না দেওয়ার সুপারিশ

বেশি সিম নিয়ে অপব্যহারের সুযোগ থাকায় একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) অনুকূলে পাঁচটির বেশি মোবাইল ফোন সিম না দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2021, 03:56 PM
Updated : 14 Dec 2021, 01:44 PM

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে জানানো হয়েছে, তারা একটি এনআইডির অনুকূলে বর্তমানে ১৫টি সিম নিবন্ধনের সুযোগ দিচ্ছে।

“বেশি বেশি সিম নিয়ে তা অপব্যহারের সুযোগ রয়েছে। এজন্য আমরা এ সংখ্যা কমিয়ে পাঁচটি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি।”

তবে কমিটি নিয়মিত কর প্রদানকারী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে হয়ত এ সংখ্যা আরও বাড়ানো যেতে পারে বলে মত দিয়েছে বলে জানান তিনি।

সাবেক এই প্রধান হুইপ জানান, বিটিআরসি শিগগির এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানাবে বলে সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে।

একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুকূলে কতগুলো সিম সংগ্রহ করা যাবে এ বিষয়ে আগে কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। এতে একটি এনআইডির বিপরীতে অনেকগুলো সিম নেওয়া যেত, যেগুলো ব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনার সংবাদও এসেছে।

এরপর ২০১৬ সালের জুনে সরকারের নির্দেশনায় গ্রাহকপ্রতি ২০টি সংযোগ নির্ধারণ করে বিটিআরসি। পরে ওই বছরের অগাস্টে এ সংখ্যা কমিয়ে পাঁচটি করা হয়।

এরপর ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তা বাড়িয়ে ১৫টি নির্ধারণ করে সরকার। বর্তমানে এ নিয়ম বহাল রয়েছে।

তবে করপোরেট গ্রাহকের ক্ষেত্রে এ সীমা নেই।

ফিরোজ জানান, সংসদীয় কমিটি অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। এক্ষেত্রে শুধু জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে দরকার হলে লাইসেন্স বাতিল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছ থেকে বকেয়া আদায়সহ গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৈঠকে সার্বিক স্বচ্ছতা ও পাওনা আদায়ের স্বার্থে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অডিট আপত্তিগুলো ত্রিপক্ষীয় সভার মাধ্যমে নিষ্পত্তির জন্যও সুপারিশ করা হয়। 

মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির অনিষ্পন্ন অডিট আপত্তিগুলোও দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আ স ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, মাহবুব উল আলম হানিফ ও মুহিবুর রহমান মানিক অংশ নেন।

আরও পড়ুন: