দ্বৈত শুল্কায়ন দূর হলে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়বে: টিপু মুনশি

দ্বৈত শুল্কায়ন ও ব্যাংকিং চ্যানেল জটিলতার কারণে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়ছে না বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Dec 2021, 04:20 PM
Updated : 6 Dec 2021, 05:40 PM

এ বাধা দূর করা গেলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে উভয় দেশই লাভবান হবে বলেও মত দেন তিনি।

সোমবার সচিবালয়ে ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার ভিকেনতেভিচ মান্তিতস্কির সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উন্নয়ন সহযোগী দেশটির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে। উভয় দেশ উদ্যোগী হলে ব্যবসা বাড়ানো সম্ভব।

“ডাবল ট্যাক্সেশন ও ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন জটিলতা দূর হলে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক বাড়বে।“

রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ দেশটিতে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে চায়।

তিনি মাস আগে বাংলাদেশে নিয়োগ পেয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার ভিকেনতেভিচ। তখনও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে এ দুটি বাধার কথা উল্লেখ করেছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখার একজন কর্মকর্তা জানান, আন্তর্জাতিক বিধিনিষেদের কারণে রাশিয়ার সঙ্গে অন্য দেশগুলোর বাণিজ্যিক লেনদেনে জটিলতা রয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেল লেনদেন নিয়েও সমস্যা রয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ শেষ পর্যায়ে। অনেক দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এগুলোতে বিনিয়োগ করেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগের আগ্রহ দেখিয়েছে।

সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় সুযোগ সুবিধা তৈরি করছে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত সব কাজ ও আনুষ্ঠানিকতা সহজে এবং দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। রাশিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।

কোভিড মহামারীকালেও গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাশিয়ায় বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করেছে ৪৬ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য।