নতুন আঙ্গিকে সিটি ব্যাংকের শরিয়াহ ব্যাংকিং সেবা চালু

বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংক প্রযুক্তিনির্ভর সেবার মিশেলে বড় পরিসরে চালু করল শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা ‘সিটি ইসলামিক’।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2021, 03:49 AM
Updated : 5 Dec 2021, 03:49 AM

গ্রাহকদের জন্য তারা নিয়ে এল দেশের প্রথম আমেরিকান এক্সপ্রেস ‘ইসলামিক’ ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ড। 

শনিবার বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে এ সেবার উদ্বোধন করা হয়।

এর আগে স্বল্প পরিসরে ইসলামি ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছিল সিটি ব্যাংক, যার নাম ছিল ‘সিটি মানারাহ’। এবার নাম ও পরিধি বদলে এ সেবার নতুন ব্র্যান্ডিং করল ব্যাংকটি। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সিটি ব্যাংকের গ্রাহকরা সারা দেশে দেড়শর মত শাখা, উপশাখা, সিটিজেম ও এসএমই সেন্টারে প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি এই ইসলামি ব্যাংকিং সেবা পাবেন।

এছাড়া সিটি ব্যাংকের ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপ সিটিটাচের মাধ্যমেও গ্রাহকরা সিটি ইসলামিকের সেবা নিতে পারবেন।

সিটি ইসলামিক সাধারণ ব্যাংকের মত ডিপোজিট গ্রাহকদের জন্য পূর্বনির্ধারিত হারে মুনাফা বণ্টন করবে না। গ্রাহকের বিনিয়োগকে সুদমুক্ত রাখতে ‘ইনভেস্টমেন্ট ইনকাম রেশিও’ অনুযায়ী মুনাফা দেবে।

সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “অর্থনীতিতে এখন ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই গ্রাহকের কথা বিবেচনা করে পূর্ণাঙ্গভাবে শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা দিতে ‘সিটি ইসলামিক’ চালু করা হল।

“আমরা আশা করি, অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমরা সারা দেশে মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারব। বাংলাদেশে গ্রামেগঞ্জে যারা টাকা ব্যাংকে রাখতে চান না, তাদের কাছে সিটি ব্যাংকের ইসলামিক সেবা গেলে তারা অবশ্যই আমাদের ব্যাংকে টাকা রাখবেন।”

আজিজ আল কায়সার বলেন, সিটি ইসলামিক সেবা চালু মধ্য দিয়ে তাদের গ্রাহক সাড়ে তিন লাখ থেকে বেড়ে শিগগিরই ১০ লাখ হয়ে যাবে এবং ইসলামি ব্যাংকিং থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা ডিপোজিট আসবে বলে তারা আশা করছেন।

ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ বলেন, “বড় একটা গ্রাহকের দল, যারা ব্যাংকিং সেবার বাইরে আছে, সিটি ইসলামিক সেবা চালুর মাধ্যমে আমরা তাদের কাছে পৌঁছে যেতে পারব বলে আশা করি।”

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন বলেন, “সিটি ব্যাংক ৬০ হাজার কোটি টাকা ডিপোজিটের ব্যাংক। প্রতি বছর এ্রর ডিপোজিট ৮ হাজার কোটি টাকা বাড়ে। তাহলে তিন বছর পরে মোট ডিপোজিটের পরিমাণ হবে ৮৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকা ইসলামি ব্যাংকিং থেকে আসতেই পারে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব।”