বিমানে অসন্তোষের জেরে চাকরি হারালেন পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি

বেতন-ভাতা নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলটদের অসন্তোষের জেরে বাংলাদেশ এয়ারলাইনস পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2021, 06:07 AM
Updated : 1 Dec 2021, 06:14 AM

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আবু সালেহ মোস্তফা কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত ২৯ নভেম্বর মাহাবুবুর রহমানকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি জানানো হয়।

বিমানের বোয়িং ৭৮৭ এর পাইলট মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

আর বিমানের এমডি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “আমরা কোনো প্রেসিডেন্টকে টার্মিনেট করিনি, আমরা বিমানের একজন ক্যাপ্টেনকে টার্মিনেট করেছি।”

বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তুষ্ট বিমান বাংলাদেশের পাইলটরা গত ২৫ অক্টোবর থেকে তাদের চুক্তি অনুযায়ী কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময় কাজ করা থেকে বিরত থাকেন। তাতে বিমানের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বিলম্বিত হয়; দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

পাইলটদের সঙ্গে সে সময় কর্তৃপক্ষের দফায় দফায় আলোচনা হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে তাতে পাইলটদের নেতৃত্ব দেন ক্যাপ্টেন মাহবুব।

এর মধ্যেই গত ২০ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে বিমান পর্ষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান বলেন, যাদের কারণে সম্প্রতি বিমানের শিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে, তাদের খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিয়েছেন।

বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ওই অনুষ্ঠানে বলেন, বিমানের বিলম্ব হলে বা সেবায় কোনো বিঘ্ন ঘটলে দায়ী ব্যক্তিকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এরপর গত ২৪ নভেম্বর বিমানের পর্ষদ সভায় বিমান পরিচালনায় 'বাধা সৃষ্টিকারী' ককপিট ক্রুদের (স্পেশাল পে) বিষয়ে ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণ পূর্বক চাকরি থেকে অপসারণ, অবসায়ন ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের’ জন্য বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

বিমানের পরিচালক (প্রশাসন) জিয়াউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি বিমানের এমডিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। 

এরপর ২৯ নভেম্বর ক্যাপ্টেন মাহবুবকে চাকরিচ্যুত করার চিঠিতে সই করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামাল।

সেখানে বলা হয়, অ্যাসোসিয়েশেন অব বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের আর্টিক্যাল ৫৯(বি)-এর ক্ষমতা বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক চাকরিচ্যুতির এই আদেশ দিয়েছেন।

চাকরিজীবনের কোনো পাওনা থাকলে মাহবুবুর রহমানকে বিমানের হিসাব শাখা থেকে তা বুঝে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।