ঢাকায় সাত দিনব্যাপী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিটের দ্বিতীয় দিন বুধবার ‘ইকোনমিক টাই অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইউরো: নিউ রেগুলেটরি রেজিম” শীর্ষক ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। ওই অঞ্চলে বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ রপ্তানি পণ্য জিএসপি সুবিধা পায়।
“বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হওয়ার পরও তিন বছর, অর্থাৎ ২০২৯ সাল পর্যন্ত ডিউটি ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইইউ সম্মত হয়েছে।”
প্রতিবছর বাংলাদেশ যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানি করে, তার ৬০ শতাংশ যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ইইউ ২০২৯ সাল পর্যন্ত জিএসপি সুবিধা চালু রাখতে সম্মত হলেও বাংলাদেশ আরও ১২ বছর ওই সুবিধা চায়।
বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্য আলোচনা অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, “যাতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।“
ঢাকা চেম্বারের প্রেসিডেন্ট রেজওয়ান রহমান, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, বিজিএমইর সাবেক সভাপতি রুবানা হক, গ্রামীণ ফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসিন আজমান, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাছের ইজাজ বিজয়, ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাভেদ আখতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।